ঢাকা, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
Sharenews24

অবশেষে বেকসুর খালাস বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

২০২৫ অক্টোবর ০৫ ১২:৫৯:৪৫
অবশেষে বেকসুর খালাস বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৬ বছর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা বহুল আলোচিত মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়-কে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৫ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মুহাম্মদ কামরুল হাসান খান এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে রায়ের সময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নিজে উপস্থিত ছিলেন। তার আইনজীবী মো. বোরহান উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি দুদকের উপপরিচালক এস. এম. মফিদুল ইসলাম বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।ঢাকার রায়েরবাজারে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের একটি ছয়তলা বাড়ি রয়েছে, যার নির্মাণ ব্যয় দেখানো হয় ৪০ লাখ ৮০ হাজার টাকা।এছাড়া কেরানীগঞ্জে পৈত্রিক জমিতে আরেকটি বাড়ির নির্মাণ ব্যয় উল্লেখ করা হয় ১৫ লাখ ৪ হাজার টাকা।

তবে গণপূর্ত বিভাগের মূল্যায়ন অনুযায়ী এই দুটি বাড়ির নির্মাণ ব্যয় অতিরিক্ত ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৫ টাকা, যা তার ঘোষণাবহির্ভূত ও জ্ঞাত আয়ের অতিরিক্ত হিসেবে ধরা হয়।

তাছাড়া, গয়েশ্বর রায়ের বাসা থেকে পাওয়া ৫৮ হাজার ৬০০ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রীও তার সম্পদ বিবরণীতে ছিল না।

তার বিরুদ্ধে মোট ২ কোটি ৮৬ লাখ ৯৫ হাজার ১০৫ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও গোপন করার অভিযোগ আনা হয়। মামলায় আরও অভিযোগ ছিল, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে মেসার্স আব্দুল মোনেম লিমিটেড ও রেজা কন্সট্রাকশন লিমিটেড নামের দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন।

২০০৯ সালের জুলাই মাসে তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে মামলার বিচার শুরু হয়।বিচারকাজ চলাকালে মামলায় ৪৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৯ জন সাক্ষ্য দেন।

দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত রায়ে বলেন, অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়নি। ফলে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

রায়ের পরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন:“এই মামলাটি ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলেই আমি আজ খালাস পেয়েছি। এ রায় জনগণের ন্যায়ের জয়।”

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বাংলাদেশের একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। তিনি বিএনপি সরকারের সময় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। এই মামলা তাকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করতে ব্যবহৃত হয়েছে বলে দীর্ঘদিন দাবি করে আসছিল বিএনপি।

এই রায় বিএনপির জন্য রাজনৈতিকভাবে বড় একটি স্বস্তির বার্তা। ২০২৫ সালের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যেখানে দলের নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা চলছে, সেখানে একটি পুরনো দুর্নীতির মামলায় খালাস পাওয়া দলের মনোবল বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে বলেই বিশ্লেষকদের মত।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে