ঢাকা, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Sharenews24

ব্যালট পেপার ছাপানো নিয়ে পরিষ্কার কথা বললেন ঢাবির ভিসি

২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৮ ১৫:৫২:০৬
ব্যালট পেপার ছাপানো নিয়ে পরিষ্কার কথা বললেন ঢাবির ভিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিভিন্ন গণমাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ব্যালট ছাপানোর স্থান ও সংখ্যা নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সমস্ত নিয়ম মেনে একটি প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে একটি অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে ব্যালট পেপার ছাপানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। রেকর্ড সংখ্যক ভোটার ও প্রার্থীর কথা বিবেচনা করে এবং দ্রুততম সময়ে ব্যালট ছাপানোর স্বার্থে, মূল ভেন্ডরকে একই টেন্ডারের অধীনে একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করার অনুমতি দেওয়া হয়।

তবে, উক্ত সহযোগী ভেন্ডর নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানোর বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেনি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করার কারণ হিসেবে সহযোগী ভেন্ডর একটি লিখিত ব্যাখ্যা দিয়েছে। তাদের তথ্য অনুযায়ী, নীলক্ষেতে ২২ রিম কাগজ দিয়ে ৮৮,০০০ ব্যালট ছাপানো হয়। এরপর প্রিন্টিং, কাটিং ও প্রিস্ক্যান পর্ব শেষে ৮৬,২৪৩টি ব্যালট সরবরাহযোগ্য করা হয়। অতিরিক্ত ব্যালটগুলো প্রচলিত পদ্ধতিতেই নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।

ভেন্ডর আরও জানায়, নীলক্ষেতে কাটিংয়ের পর প্রিস্ক্যান এবং পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য তারা ব্যালটগুলো তাদের মূল অফিসে এনে প্রিস্ক্যান সম্পন্ন করে নির্দিষ্ট পরিমাণে প্যাকেট করে সীলগালা করে বিশ্ববিদ্যালয়কে সরবরাহ করে। তারা নিশ্চিত করেছে যে ব্যালট প্রস্তুতকরণ প্রক্রিয়ায় ও আনা-নেওয়ার চুক্তিমোতাবেক সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ব্যস্ততার কারণে নীলক্ষেতে ব্যালট প্রিন্টিং ও কাটিংয়ের বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানাতে ভুলে যাওয়ার কথা তারা স্বীকার করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যালট পেপার ছাপানোর স্থান বা সংখ্যা সুষ্ঠু নির্বাচনকে কোনোভাবে প্রভাবিত করে না। কারণ, ব্যালট পেপার ভোটের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করতে কয়েকটি ধাপ সম্পন্ন করতে হয়, যার মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা কোড আরোপ ও ওএমআর মেশিনে প্রিস্ক্যান করে মেশিন-পাঠযোগ্য করা। প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার সীল ও স্বাক্ষর এবং কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার স্বাক্ষরযুক্ত হলেই ব্যালট ভোট গ্রহণের জন্য উপযুক্ত হয়। এই সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই সম্পূর্ণ সতর্কতা ও ডিউ ডিলিজেন্স বজায় রেখে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।

সিসিটিভি ফুটেজ ও ভোটারদের স্বাক্ষরিত তালিকা দেখানোর বিষয়ে পূর্বেও আবেদন এসেছিল। শিক্ষার্থীরা ছবিসহ ভোটার তালিকা জনসমক্ষে প্রদর্শনে আপত্তি জানানোয় সেটি ওয়েবসাইট থেকে নামিয়ে নেওয়া হয়েছিল। যেহেতু এবারও একই অনুরোধ এসেছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের বিজ্ঞ আইনজীবীদের সাথে আলোচনা করেছে। আইনজীবীদের পরামর্শ অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী যদি নির্দিষ্ট ও যৌক্তিক কারণে কারো স্বাক্ষর পর্যবেক্ষণ করতে চান, সেক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মনোনীত বিশেষজ্ঞ বা ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত কোনো স্থানে তা দেখতে বা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের কারো প্রতি কোনো অভিযোগ নেই এবং তারা সামনের দিকে তাকাতে চান। তারা বিশ্বাস করেন, ডাকসুর মতো একটি গণতান্ত্রিক ছাত্র প্রতিষ্ঠানকে পুনরুজ্জীবিত ও সক্রিয়করণে উভয় পক্ষের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এবং বিজয়ী ও পরাজিত উভয় পক্ষের অবদানকে তারা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে