ঢাকা, বুধবার, ২৭ আগস্ট ২০২৫
Sharenews24

যমুনার নাম ভাঙিয়ে ২০০ কোটির লেনদেন!

২০২৫ আগস্ট ২৭ ১৯:৩৭:৫১
যমুনার নাম ভাঙিয়ে ২০০ কোটির লেনদেন!

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের (NICRH) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. শেখ গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পদ পাওয়ার লোভে তিনি একজন কথিত ‘সমন্বয়ককে’ নগদ ১০ লাখ টাকা ও ৪টি চেকের মাধ্যমে ২০০ কোটি টাকা দেন।

সূত্র জানায়, ঘটনা ঘটেছে চলতি বছরের জানুয়ারিতে। অভিযোগে বলা হয়, একটি কথিত ‘সমন্বয়ক গ্রুপ’, যারা নিজেদের ‘যমুনা থেকে আগত’ পরিচয় দেয়, তাদের সঙ্গে লেনদেনে জড়ান ডা. মোস্তফা। মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেন আরিফুল ইসলাম, যিনি নিজেকে প্রধান সমন্বয়ক ‘আরেফিন’-এর ভাই পরিচয় দেন এবং চেকগুলো সরাসরি ডা. মোস্তফার চেম্বার থেকে সংগ্রহ করেন।

যদিও আরেফিন সরাসরি উপস্থিত ছিলেন না, তিনি ফোনে কথোপকথনের মাধ্যমে ‘ডিল’ নিশ্চিত করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

দুদক ইতোমধ্যে ডা. মোস্তফার ব্যাংক হিসাব, আর্থিক লেনদেন ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য খতিয়ে দেখছে। একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, “অভিযোগ সত্য হলে, এটি হবে স্বাস্থ্য খাতের অন্যতম গুরুতর দুর্নীতির ঘটনা।”

সামাজিক মাধ্যমে ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। একজন নাগরিক লেখেন, “ক্যান্সার রোগীদের হাসপাতালেই যদি এমন দুর্নীতি হয়, তাহলে আমরা কোথায় যাব?”অন্য একজন বলেন, “অস্ত্রধারী সমন্বয়কদের জড়িত থাকার অভিযোগ পরিস্থিতিকে ভয়াবহ করে তুলেছে।”

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এখনো এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি। তবে এক কর্মকর্তা জানান, “দুদকের তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া, আর্থিক লেনদেনের কড়াকড়ি ও প্রশাসনিক সংস্কার ছাড়া এমন দুর্নীতি বন্ধ হবে না। দুদক যেন দ্রুত তদন্ত শেষ করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়—এমনটাই প্রত্যাশা জনগণের।

জাহিদ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে