ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫
Sharenews24

সেদিন মুচকি হেসে হামিদকে যা বলছিলেন আল্লামা সাঈদী

২০২৫ আগস্ট ১৫ ১১:৩১:১৫
সেদিন মুচকি হেসে হামিদকে যা বলছিলেন আল্লামা সাঈদী

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের একজন সুপরিচিত ইসলামী বক্তা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, যার জীবন ও কর্ম অনেকের মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কক্সবাজার-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জামায়াত নেতা হামিদুর রহমান আযাদ একটি স্মৃতিচারণমূলক লেখা লিখেছেন। এই লেখায় তিনি পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে আল্লামা সাঈদীর সঙ্গে কাটানো শেষ দিনের কিছু আবেগঘন ঘটনা ও অনুভূতির কথা তুলে ধরেছেন।

কারাগারের স্মৃতি ও টমেটো গাছের গল্প

হামিদুর রহমান আযাদ তার লেখায় উল্লেখ করেছেন, পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের ২৬ নম্বর সেলের পশ্চিম কোণে একটি খালি জায়গায় ভিআইপি বন্দিদের সেবকরা (সাজাপ্রাপ্ত আসামি) সবজি চাষ করত। জেলের প্রথম দিন বিকেলে হাঁটার সময় তিনি তাদের টমেটো চারা রোপণ করতে দেখেছিলেন। একদিন বিকেলে আল্লামা সাঈদীর সঙ্গে হাঁটার সময় তিনি তাকে এই টমেটো গাছের কথা বলেন। যখন তিনি জেলে এসেছিলেন, তখন গাছগুলো ছোট ছিল, কিন্তু এখন সেগুলো লাল টমেটোতে ভরে গেছে। এই কথা শুনে আল্লামা সাঈদী মুচকি হেসে বলেন, "মনে হয় আপনারও চলে যাওয়ার সময় হয়েছে।"

জামিনের খবর ও মিশ্র অনুভূতি

সাঈদীর এই কথা বলার কিছুক্ষণ পরেই একজন লোক ফাইল হাতে এসে হামিদুর রহমান আযাদকে জানান যে তার জামিন হয়েছে। এই খবর শুনে জেলের সবাই আনন্দিত হলেও, আযাদের মনে মুক্তির আনন্দের পাশাপাশি কিছু হারানোর বেদনাও কাজ করছিল। তিনি তার জামা-কাপড় পরিবর্তন করার সময় মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, আল্লামা সাঈদীসহ আরও কয়েকজন ভিআইপি বন্দি তার কক্ষে আসেন। প্রথমে মাওলানা নিজামী এবং পরে আল্লামা সাঈদী তার কপালে চুমু খেয়ে বিদায় জানান এবং তার জন্য দোয়া করেন।

মুক্তির পর নজরদারি ও চলমান সংগ্রাম

আনুমানিক রাত ১০টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার পর হামিদুর রহমান আযাদ জেল থেকে মুক্তি পান। কারা ফটকের বাইরে ঢাকা মহানগরীর নেতৃবৃন্দসহ হাজার হাজার মানুষ তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

জেল থেকে মুক্তির পরও তার স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হয়। তার গতিবিধি ও বাসার ওপর সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা নজরদারি শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে তিনি প্রথমে তার রামপুরার বাসা এবং পরে সিদ্ধেশ্বরীর বাসাও ছাড়তে বাধ্য হন। আযাদ তার লেখায় উল্লেখ করেন যে, এই জুলুমের শেষ কোথায় তা কেবল আল্লাহই জানেন। তিনি আরও বলেন, দেশের অসংখ্য নেতাকর্মী কারাগারে বন্দী এবং যারা বাইরে আছেন, তারাও যেন এক বড় কারাগারে দিনযাপন করছেন। তার মতে, ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জন্য জেল-জুলুম একটি স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

জাহিদ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে