ঢাকা, রবিবার, ১০ আগস্ট ২০২৫
Sharenews24

শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপের বিস্ফোরক অভিযোগ

২০২৫ আগস্ট ১০ ১৯:৫২:০০
শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপের বিস্ফোরক অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে একটি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর নিজেকে 'বলির পাঁঠা' বলে দাবি করেছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য এবং সাবেক ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি অভিযোগ করেছেন, মামলাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান-এ প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ।

৪২ বছর বয়সী লেবার পার্টির এই নেত্রী জানান, গত সপ্তাহে এক সাংবাদিকের মাধ্যমে জানতে পারেন, ঢাকার পূর্বাচলে জমি বরাদ্দে প্রভাব খাটানোর অভিযোগে তাকে ও আরও ২০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলার শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ আগস্ট।

তবে টিউলিপ জানিয়েছেন, তিনি এখনো পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক সমন বা অভিযোগপত্র পাননি। তার ভাষায়, ‘আমি যেন এক অদ্ভুত দুঃস্বপ্নে আটকে আছি, যেখানে বিচার শুরু হতে যাচ্ছে, কিন্তু আমি জানি না আমার বিরুদ্ধে সঠিক অভিযোগটি কী।’

বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় প্রয়োজন হলে টিউলিপের অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হতে পারে।

টিউলিপ বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে লেবার পার্টি বিজয়ী হওয়ার পর তিনি অর্থনৈতিক সচিব ও সিটি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং নিজের কাজ উপভোগ করছিলেন। কিন্তু সেই সময়েই বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকার পতন ঘটে। এরপর অর্থনীতিবিদ ও হাসিনার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠিত হলে, তার (টিউলিপের) বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আনা শুরু হয়।

প্রথমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে, যা টিউলিপ ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দেন। পরবর্তীতে, ২০০৪ সালে লন্ডনের কিংস ক্রসে একটি অ্যাপার্টমেন্ট উপহার পাওয়ার অভিযোগ ওঠে, যা তিনি ব্যাখ্যা করেন নিরাপত্তাজনিত কারণে অন্যের মালিকানাধীন বাড়িতে থাকার প্রয়োজনীয়তা হিসেবে।

তবে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীদের আচরণবিধি পর্যালোচনায় নিযুক্ত স্বাধীন উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস তার আর্থিক লেনদেন খতিয়ে দেখে তাকে অভিযোগমুক্ত ঘোষণা করেন।

টিউলিপ অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ক্ষমতার পালাবদলের পর তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তার ভাষায়, ‘এটি মুহাম্মদ ইউনূস ও আমার খালা শেখ হাসিনার মধ্যে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ফল, আর আমি সেই দ্বন্দ্বের বলি হয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে যারা সত্যিকার অপরাধ করেছে, তাদের অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত—কিন্তু আমি তাদের মধ্যে একজন নই।’

জাহিদ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে