ঢাকা, সোমবার, ৪ আগস্ট ২০২৫
Sharenews24

কাদেরের অভিযোগে উত্তপ্ত, সাদিকের পাল্টা জবাব

২০২৫ আগস্ট ০৪ ১১:৩২:১৩
কাদেরের অভিযোগে উত্তপ্ত, সাদিকের পাল্টা জবাব

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদস্যরা ‘ছাত্রলীগ’ পরিচয়ে অংশ নিতেন—এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (গাছাস) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের।

গতকাল রোববার (৩ আগস্ট) রাতে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাসে কাদের এই অভিযোগ করেন। সেখানে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ঢাবি শাখার সাবেক সভাপতি মো. আবু সাদিক কায়েমের নামও উল্লেখ করেন তিনি।

এই অভিযোগের পরপরই, রাতেই পাল্টা ফেসবুক পোস্ট করে সাদিক কায়েম কাদেরের তোলা অভিযোগগুলোর জবাব দেন। সাদিক তার পোস্টে অভিযোগগুলোকে ‘ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর’ দাবি করে একাধিক যুক্তি তুলে ধরেন।

সাদিক কায়েমের জবাবের মূল পয়েন্টগুলো:

১. বিচার বনাম হয়রানি:

সাদিক দাবি করেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে যখন অপরাধীদের বিরুদ্ধে বিচার দাবি ওঠে, তখন নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়—সেই বিষয়েও আন্দোলনকারীদের সতর্ক থাকতে হতো। অনেকেই তখন জানাতেন, তারা ছাত্রলীগের সঙ্গে থাকলেও কোনো অপরাধে জড়িত ছিলেন না।

২. তথ্য যাচাইয়ের প্রসেস:

বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পাওয়া অভিযোগ যাচাই করার জন্য সাদিক বলেন, তিনি এনসিপি নেতা আরমান হোসেন ও সংস্কার কমিশনের সদস্য মাহিনের কাছে কিছু তথ্য ফরওয়ার্ড করেছিলেন—কেবল যাচাইয়ের জন্য, কাউকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে নয়।

শিবির সদস্য নয়:

কাদেরের পোস্টে উল্লেখ করা স্ক্রিনশটে থাকা ব্যক্তিরা বর্তমানে বা ঘটনার সময় শিবিরের কেউ ছিলেন না বলে দাবি করেন সাদিক। তার ভাষায়, “ছাত্রলীগে লুকিয়ে থাকা শিবিরকে বাঁচাতে সহায়তা করেছি—এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি।”

‘সাঈদী’ নিয়ে অভিযোগ:

কাদেরের দাবি অনুযায়ী, সাদিক ‘সাঈদী’ নামের এক অভিযুক্তকে বাঁচাতে যোগাযোগ করেছিলেন। জবাবে সাদিক স্পষ্ট করে বলেন, “সাঈদী অপরাধী, তাকে বাঁচানোর প্রশ্নই আসে না।”

মুহসিন হলের ‘শাহাদাত’ প্রসঙ্গ:

কাদেরের স্ট্যাটাসে মুহসিন হলের এক ছাত্র শাহাদাতকে নিয়ে সাদিকের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ তোলা হয়। জবাবে সাদিক জানান, “আমি ওই ব্যক্তিকে চিনিই না। যদি ফোন দিতে চাইতাম, তাহলে তো মামলা হওয়ার আগেই দিতাম—পরে ফেসবুক পোস্ট দেখে কেন ফোন দেব?”

সাদিক কায়েম আরও বলেন, “জীবনের কোনো এক ধাপে কেউ যদি শিবিরের সঙ্গে যুক্ত থাকে, কিন্তু পরে শিবিরবিরোধী হয়ে যায় কিংবা ছাত্রলীগে যোগ দেয়—তাহলে তার পরবর্তী অপরাধের দায় কি শিবিরের নিতে হবে?”

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যেমন কেউ যদি শিবির ছেড়ে এনসিপি বা বাগছাসে চলে যায়, তাদের দুর্নীতি বা সাফল্যও কি শিবিরের নামে লেখা হবে?”

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে