ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব

২০২৫ জুলাই ৩১ ১২:০২:১৯
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে প্রস্তাবিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ–২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে ১২টি বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে বাকি আটটি বিষয়ে এখনো আলোচনা চলছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব ইস্যুতে, যেখানে বিদ্যমান ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন বহাল রেখে প্রথম ধাপে ৫ শতাংশ আসনে সরাসরি নারী প্রার্থীর মনোনয়নের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।

এ বিষয়ে বুধবার (৩০ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত সংলাপে ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। আলোচনায় নারী প্রতিনিধিত্ব ছাড়াও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা, নির্বাচন পদ্ধতি, উচ্চকক্ষ গঠন, নাগরিকের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ ও সংবিধান সংশোধনসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে মতবিনিময় হয়। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন ড. আলী রীয়াজ এবং সঞ্চালনায় ছিলেন মনির হায়দার।

নারী প্রতিনিধিত্ব ইস্যুতে কমিশনের প্রস্তাবে বেশিরভাগ দল সম্মত হয়েছে যে, পরবর্তী নির্বাচনে ৫ শতাংশ নারী প্রার্থী সরাসরি মনোনীত হবেন। ধাপে ধাপে এই হার ১০ শতাংশ, পরে ১২ শতাংশ এবং ক্রমান্বয়ে ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত উন্নীত করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। বিএনপি ও সমমনা দলগুলো প্রস্তাবকে সমর্থন জানালেও ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের ওপর জোর দেয়।

তবে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আইনগত ভিত্তি ছাড়া সনদে স্বাক্ষর করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন সাফ জানিয়ে দেন, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আইনি ভিত্তিসহ ঘোষণাপত্র প্রকাশ না হলে তারা ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে একত্র করে আন্দোলনের ডাক দেবেন। জামায়াতও অনুরূপ বক্তব্য দেয় এবং নোট অব ডিসেন্ট প্রদান করে।

রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ ৪৮(৩) সংশোধন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কমিশনের প্রস্তাবে রাষ্ট্রপতির হাতে অ্যাটর্নি জেনারেল, মানবাধিকার কমিশন, তথ্য কমিশন, সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এতে বেশিরভাগ দল নীতিগতভাবে সম্মতি দিয়েছে।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবারের মধ্যেই খসড়ার চূড়ান্ত সংস্করণ প্রকাশ করা হবে। ইতোমধ্যে ১৪টি বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দলগুলোকে লিখিতভাবে সংশোধনী জমা দিতে বলা হয়েছে এবং তা পর্যালোচনার পর চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, সনদ ও ঘোষণাপত্র দুটি আলাদা দলিল হিসেবে থাকবে। সনদে থাকবে রাষ্ট্র কাঠামো ও ভবিষ্যৎ সংস্কারের দিকনির্দেশনা, আর ঘোষণাপত্রে থাকবে রাজনৈতিক আন্দোলনের ধারাবাহিকতা ও লক্ষ্য।

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে