ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

চাঁদাবাজির তালিকা ঘিরে রাজশাহীতে তোলপাড়

২০২৫ জুলাই ২৯ ১০:৪২:১৪
চাঁদাবাজির তালিকা ঘিরে রাজশাহীতে তোলপাড়

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগরীতে হঠাৎ ছড়িয়ে পড়া একটি 'চাঁদাবাজির তালিকা' ঘিরে রাজনীতিতে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। তালিকায় বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জামায়াত-শিবির সংশ্লিষ্ট ১২৩ জন নেতাকর্মীর নাম রয়েছে।

তালিকাটি সোমবার সকাল থেকে রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। যদিও তালিকার উৎস সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে এটি কোনো গোয়েন্দা সংস্থা কিংবা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কোনো পক্ষের তৈরি।

বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন: ৪৪ জন

আওয়ামী লীগ: ২৫ জন

জামায়াত-শিবির: ৬ জন

রাজনৈতিক পরিচয়বিহীন ‘সুবিধাবাদী’: বাকি নামগুলো

তালিকায় থাকা কয়েকজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগসহ বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন:

ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক লিমন: মামলার ভয় দেখিয়ে কোচিং সেন্টার থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ

মহানগর বিএনপির নেতা বজলুর রহমান মন্টু ও আরিফুল শেখ বরি: ফুটপাত থেকে নিয়মিত চাঁদা তোলার অভিযোগ

তালিকায় নাম আসায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা।বজলুর রহমান মন্টু বলেন, “এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।”এমদাদুল হক লিমন বলেন, “আমি আদর্শবাদী রাজনীতি করি, চাঁদাবাজির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।”মমিনুল ইসলাম মিলু বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে রাজনীতিতে হেয় করার চেষ্টা চলছে।”

রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ইশা বলেন, “এমন তালিকা তৈরি করা হলে আগে তদন্ত করে নিশ্চিত হওয়া উচিত—যাতে নিরীহ কেউ হয়রানির শিকার না হয়।”

জামায়াত মহানগরের সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মণ্ডল বলেন, “তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের আগেই দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। জামায়াত চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছে।”

তালিকায় থাকা অন্তত ১৮ জনের নাম একটি চাঁদাবাজির মামলায় এসেছে, যেটি আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান গত শুক্রবার বোয়ালিয়া থানায় দায়ের করেন। এতে ছাত্রদল ও যুবদলের কয়েকজন নেতাকে আসামি করা হয়। তারা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আবু সুফিয়ান বলেন, “তালিকা বড় বিষয় নয়, কিন্তু চাঁদাবাজির ঘটনা যে ঘটছে তা অস্বীকার করা যাবে না। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তবে নিরীহ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করা হবে।”

তিনি আরও বলেন, “পুলিশ ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থা তালিকা তৈরি করে। অনেকে সরাসরি মামলা না করে হটলাইন বা ইমেইলে তথ্য দেন। সেসব যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে