ঢাকা, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
Sharenews24

তেঁতুল খেলে শরীরের রক্ত পানি হয়ে যায় যা বলছেন পুষ্টিবিদ

২০২৫ জুন ২২ ১১:৫৩:০৩
তেঁতুল খেলে শরীরের রক্ত পানি হয়ে যায় যা বলছেন পুষ্টিবিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: তেঁতুলের নাম শুনলেনই মুখে আসে পানি। বহুল প্রচলতি এই ফল খাওয়া নিয়ে সমাজে মানুষের মধ্যে আছে নানা নেতিবাচক ধারণা। অনেকেই বলেন তেঁতুল খেলে শরীরে রক্ত পানি হয়ে যায়। এই ধারণা কতটা সত্য? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন সিলেট ডায়াবেটিস অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের ডায়াবেটিস এডুকেটর ও পুষ্টিবিদ স্বর্ণালী দাস বিজয়া।

তেঁতুল খেলে রক্ত পানি হয়ে যায় কি না—এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ স্বর্ণালী দাস বিজয়া বলেন, তেঁতুল নিয়ে আমাদের দেশের মানুষের অনেক নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। তেঁতুল খেলে রক্ত পানি হয়ে যায় কথাটি কুসংস্কারমাত্র। তেঁতুলের অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট এবং অ্যান্টিপ্লেটলেট ফাংশন আছে। যার ফলে এটি ব্লাড থিনার হিসেবে কাজ করতে পারে। অর্থাৎ রক্তের ঘনত্ব কমিয়ে দিতে পারে। কিন্তু রক্তের ঘনত্ব কমিয়ে দেওয়া আর রক্ত পানি করে ফেলার বিষয়টি এক নয়।

রক্তের পিএইচের মান কমে পানির পিএইচ মানের সমান হলে রক্ত পানির মতো হয়ে যেতে পারে। তবে রক্তের পিএইচ সহজেই কমে আসার আশঙ্কা অনেক কম। কারণ রক্তের বাফার সিস্টেম রক্তের পিএইচ মান স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে। শরীর মারাত্মকভাবে রোগাক্রান্ত না হলে রক্তের পিএইচ মানের তারতম্য ঘটার ঝুঁকি কম। তাই তেঁতুল খেলে রক্ত পানি হবে এ ধারণা একদমই ঠিক নয়।

বিভিন্ন ফাইটোক্যামিকেল থাকার কারণে তেঁতুল শরীরের রক্তের গ্লুকোজ কমাতে ভূমিকা রাখে। ডায়াবেটিস রোগীদের হাইপারগ্লাইসেমিয়া অর্থাৎ রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ অত্যধিক পরিমাণে বেড়ে যাওয়া প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে।

তেঁতুলের প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এসব উপাদান শরীরের হৃদরোগ, ক্যানসার ও ডায়াবেটিসের মতো রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রাখে।

গবেষণায় দেখা গেছে, তেঁতুলের নির্যাস গ্রহণের ফলে লিভারের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস পায়। এতে থাকা প্রোকিয়ানিডিনগুলো লিভারের ফ্রি র‍্যাডিকাল ক্ষতির বিরুদ্ধেও লড়াই করে। তেঁতুল খনিজসমৃদ্ধ, যা শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে।

তেঁতুল রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইড ও প্লাজমা কোলেস্টেরল যেমন, এলডিএল কমিয়ে রক্তনালিতে প্লাগ তৈরি হতে বাধা দেয় এবং এথেরোক্লেরোসিস নামক রোগের প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। এর পাশাপাশি লিভারে চর্বি জমা হওয়ার প্রবণতাকেও কমায়।

তেঁতুলের মতো টকজাতীয় ফলে থাকা ভিটামিন ‘সি’ সংযোজক কলার কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে। কোলাজেনের উৎপাদন সহজেই কাটা বা ক্ষতস্থানকে মাংসপেশির তন্তু দিয়ে ভরাট করে ফেলে এবং ঘা শুকিয়ে ফেলে। কাজেই দেখা যাচ্ছে টক জাতীয় ফল খেলে ঘা পাকে না। বরং ঘা শুকাতে বিশেষভাবে কার্যকর টক জাতীয় ফল।

মুয়াজ/

পাঠকের মতামত:

স্বাস্থ্য এর সর্বশেষ খবর

স্বাস্থ্য - এর সব খবর



রে