ঢাকা, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
Sharenews24

তারেক রহমানকে সমর্থন জানিয়ে যা বললেন সারজিস

২০২৫ জুন ১৬ ১২:২৯:৩৬
তারেক রহমানকে সমর্থন জানিয়ে যা বললেন সারজিস

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একদলীয় শাসনব্যবস্থা ও সংবাদপত্রের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগ করে ফেসবুক পোস্টে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তার ওই পোস্টে মন্তব্য করে সমর্থন জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম।

সোমবার (১৬ জুন) সকালে তারেক রহমান নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, “শেখ মুজিবুর রহমানের মতো তার কন্যা শেখ হাসিনাও একদলীয় শাসন পুনঃপ্রবর্তনের পথে হেঁটেছেন। নানা কালাকানুন তৈরি করে সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের ওপর অব্যাহত জুলুম চালানো হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৬ জুন ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো দিন। সেদিন সকল রাজনৈতিক দল বাতিল করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা হয়, মাত্র চারটি সরকারপন্থী সংবাদপত্র রেখে বাকিদের নিষিদ্ধ করা হয়। এতে সাংবাদিকদের জীবিকা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়ে।”

তারেক রহমান দাবি করেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, কিন্তু বর্তমান সরকার সেই চেতনা থেকে সরে এসে আবারো দমনমূলক ব্যবস্থায় ফিরে গেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মতো ‘ড্রাকোনিয়ান’ আইন করে সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তার এই বক্তব্যে ঘরোয়া রাজনীতিতে যেমন আলোচনা সৃষ্টি হয়, তেমনি ফেসবুকে নেটিজেনদের ব্যাপক সাড়া পড়ে। পোস্টের মন্তব্যে অংশ নিয়ে এনসিপি নেতা সারজিস আলম লেখেন, “আপনার এই বক্তব্যের সাথে একমত। একটি দেশের গণতন্ত্রের পথে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

তিনি আরও বলেন, “এই কয়েক মাসে আমরা দেখেছি, অনেক ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কিংবা টিআরপির লোভে কিংবা অজানা উৎসের মদদে অসংখ্য প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে। কিছু সংবাদপত্র বা অনলাইন পোর্টাল ভিত্তিহীন খবর দিয়ে পরে তা মুছে ফেলে। কিন্তু তার মধ্যেই ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়ে যায়।”

সারজিস অভিযোগ করেন, “বর্তমান অনেক সাংবাদিক অতীতে আওয়ামী লীগকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন, এখনও তারা নিজেদের শুধরায়নি। কিছু মিডিয়া ক্ষমতা ও রাজনৈতিক চাপ অনুযায়ী শিরোনাম পাল্টায়। স্বাধীনতার সুযোগ যেমন থাকা উচিত, তেমনি অপব্যবহার করলে তার তদন্তসাপেক্ষে শাস্তিও নিশ্চিত করা দরকার।”

তিনি শেষ মন্তব্যে বলেন, “সাংবাদিকতা হোক দায়িত্বশীল, সত্যনিষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ। অন্যথায় গণতন্ত্র যেমন হুমকির মুখে পড়ে, তেমনি জনআস্থা হারায় সংবাদমাধ্যমও।”

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে