ঢাকা, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫
Sharenews24

অবশেষে খোঁজ মিলল উচ্চবংশীয় সেই ছাগলটির

২০২৫ জুন ০৫ ১৬:২০:৫২
অবশেষে খোঁজ মিলল উচ্চবংশীয় সেই ছাগলটির

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত কোরবানির ঈদে দেশের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে একটি ছাগল, যার দাম হাঁকা হয়েছিল ১৫ লাখ টাকা। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এই ছাগল ঘিরেই সামনে আসে সাবেক জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমানের পরিবারের আর্থিক অনিয়মের নানা অভিযোগ। ছাগল কেনা ও প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে পরোক্ষভাবে উন্মোচিত হয় এক সম্ভাব্য দুর্নীতির চিত্র।

ঘটনার শুরু হয় ‘সাদিক এগ্রো’ খামার থেকে। প্রতিষ্ঠানটির মালিক মোহাম্মদ ইমরান হোসেন দাবি করেন, ছাগলটি বিদেশি ব্রিটল জাতের এবং উন্নত বংশের। এরপর তিনি ছাগলটির ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এটি দ্রুত ভাইরাল হয়। পরে মতিউর রহমানের ছেলে পরিচয়ে মুশফিকুর রহমান ইফাত ছাগলটি কিনে নেন এবং একটি সেলফি পোস্ট করেন—যা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।

জনগণের প্রশ্নের মুখে পড়ে মতিউর রহমান প্রথমে দাবি করেন, মুশফিকুর তার ছেলে নন। পরবর্তীতে তদন্তে জানা যায়, এটি তার দ্বিতীয় পক্ষের পুত্র। এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মতিউরের বিরুদ্ধে আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করে।

এ সময় জানা যায়, সাদিক এগ্রোর মোহাম্মদপুরের খামারটি সরকারি জমিতে গড়ে তোলা হয়েছিল, যা ২০২৪ সালের জুনে উচ্ছেদ করা হয়। খামারের গরু ও ছাগল সরিয়ে নেওয়া হয় সাভারের আরেকটি স্থানে। সেখানে ফের দেখা যায় সেই আলোচিত ছাগলটিকে।

জানা গেছে, ছাগলটির উচ্চতা প্রায় ৬২ ইঞ্চি, ওজন ঈদের সময় ছিল ১৭৫ কেজির মতো। এখনও এটি বিক্রি হয়নি। খামারের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা ছাগলটি দরিদ্রদের মাঝে দান করার পরিকল্পনা করছেন।

ঘটনার জেরে আলোচিত খামারের মালিক ইমরান হোসেন গ্রেপ্তার হন। অন্যদিকে, মুশফিকুর রহমান দুইবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন, পরিবার সূত্রে এমন দাবি করা হয়। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে মতিউর রহমান ও তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজকে গ্রেপ্তার করে দুদক।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনা শুধু একটি ছাগল বিক্রির কাহিনি নয়—এটি দেশের দুর্নীতির বাস্তবতা, রাজস্ব কর্মকর্তাদের আয়ের উৎস ও রাজনৈতিক দায়িত্বহীনতার প্রতিফলন হয়ে উঠেছে।

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে