ঢাকা, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
Sharenews24

চিকেন নেকের পাশেই বিমান ঘাঁটি, ভারতের ঘুম হারাম

২০২৫ মে ০৪ ১১:১৪:১৬
চিকেন নেকের পাশেই বিমান ঘাঁটি, ভারতের ঘুম হারাম

নিজস্ব প্রতিবেদক: মোদীর ঘুম হারাম। এক দিকে পাকিস্তান অন্যদিকে নেপাল, সাথে ভুটান শ্রিলংকা তো আছেই। এবার আসছে বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশ এবার হাত দিতে যাচ্ছে ভারতে হৃদপিণ্ডে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে একের পর এক বাংলাদেশের পদক্ষেপে মোদি এখন পাগলপ্রায়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস একটি ছোট্ট পদক্ষেপও যেন মোদির জন্য মহাপ্রলয়। আর এত এক বিশাল বিমান ঘাটি।

বাংলাদেশের লালমনিরহাটে একটি সম্ভাব্য মাল্টিফাংশনাল বিমানঘাঁটি নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলটি ভারতের 'চিকেন নেক' করিডোরের নিকটবর্তী হওয়ায় দিল্লির উদ্বেগ বাড়ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় কৌশলগত হাব, যা সামরিক ও বেসামরিক উভয় উদ্দেশ্যে ব্যবহারযোগ্য হবে।

লালমনিরহাট জেলার সম্ভাব্য বিমানঘাঁটি থেকে ভারতের অতি সংবেদনশীল 'সিলিগুড়ি করিডোর' বা 'চিকেন নেক' মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে। এটি ভারতের মূল ভূখণ্ডকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত রাখে। সেক্ষেত্রে এই ঘাঁটি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যমে এ নিয়ে আলোচনা ও উদ্বেগ প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। কিছু মিডিয়া দাবি করেছে, প্রকল্পে চীনের বিনিয়োগ থাকলে এটি ভারতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে।

বাংলাদেশ সরকারের অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, “বাংলাদেশ নিজের স্বার্থে নিজের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আমরা আমাদের ভূখণ্ডে কী করব, তা নিয়ে অন্য কোনো দেশের অনুমতির প্রয়োজন নেই।”

তিনি জানান, এটি হবে একটি মাল্টিফাংশনাল হাব, যেখানে যুদ্ধবিমান রাখার পাশাপাশি বাণিজ্যিক ফ্লাইট, প্রশিক্ষণ এবং জরুরি সামরিক ব্যবহার—সবই সম্ভব হবে।

সূত্রমতে, চীন এই প্রকল্পে অবকাঠামো নির্মাণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় অংশ নিতে পারে। সম্ভাব্য বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার। তুরস্ক, কাতার এবং এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও ড্রোন, রাডার ও লজিস্টিক সাপোর্টে আগ্রহ দেখিয়েছে।

সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক চিত্র নতুনভাবে রচিত হবে। ভারত যদি একে হুমকি হিসেবে দেখে, তবে কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়তে পারে। তবে বাংলাদেশ বলছে, প্রকল্পটি তাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই নেওয়া হয়েছে।

মুয়াজ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে