ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
Sharenews24

বিএনপি নেতাকে আওয়ামী লীগ কর্মী দেখিয়ে গ্রেফতার

২০২৫ এপ্রিল ২০ ১১:১৬:০৮
বিএনপি নেতাকে আওয়ামী লীগ কর্মী দেখিয়ে গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা সাখাওয়াত হোসেন মনিরের গ্রেফতারের পর শুরু হয়েছে। তিনি জাতীয়তাবাদী বাস্তুহারা দলের উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক। পুলিশ তাকে আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে চিহ্নিত করে বিএনপির দলীয় কার্যালয় পোড়ানোর মামলায় গ্রেফতার করেছে, যদিও তার রাজনৈতিক পরিচয় একেবারেই ভিন্ন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বরিশাল নগরীর নতুন বাজার এলাকা থেকে মনিরকে আটক করা হয়। গ্রেফতার হওয়ার সময় পুলিশ তাকে কোনো মামলার বিষয়ে জানায়নি। পরবর্তীতে জানা যায়, মনিরকে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুকের দায়ের করা একটি মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা হয়, যেখানে তাকে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

মনিরের ভাই বাদল সিকদার অভিযোগ করেছেন, পুলিশ তাকে অপরাধী হিসেবে গ্রেফতার করার সময় জানায়নি কেন তাকে আটক করা হচ্ছে। তিনি বলেন, মনির সবসময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। পরিবারের দাবি, এটি একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সম্পাদিত হয়রানি এবং ভুলভাবে আওয়ামী লীগ কর্মী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতারা দাবি করেছেন, সাখাওয়াত হোসেন মনির একজন সক্রিয় বিএনপি কর্মী এবং তিনি বহু বছর ধরে আওয়ামী লীগের বিরোধিতায় ছিলেন। চরকাউয়া ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি শাহ আলম হাওলাদারও মনিরকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলে মন্তব্য করেছেন।

জেলা বাস্তুহারা দলের আহ্বায়ক মিলন মুন্সী বলেছেন, মনির বহুবার আওয়ামী লীগ বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন এবং সেই জন্য তাকে একাধিকবার জেলে যেতে হয়েছে। সুতরাং, তাকে আওয়ামী লীগ কর্মী বানিয়ে গ্রেফতার করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রেজাউল ইসলাম জানিয়েছেন, মনিরকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং তদন্তে প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে। তবে কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা পত্রিকায় খবর দেখে তাকে গ্রেফতার করেছি। তিনি কোন দলের, সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়।’

এই ঘটনায় বরিশাল রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনগুলো এ বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করছে এবং দাবি করছে যে, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়রানি।

এ ঘটনা সাধারণ জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক বিভক্তি ও উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। এর ফলে, বরিশালের রাজনীতিতে আরও উত্তাপ দেখা দিতে পারে। যদিও তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটিত হবে, তবে একে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই অনেকে মনে করছেন।

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে