ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
Sharenews24

যুবক-যুবতীর হারাম সম্পর্কের ব্যাপারে যা বললেন শিবির সভাপতি

২০২৫ মার্চ ২০ ১১:৫৯:২৬
যুবক-যুবতীর হারাম সম্পর্কের ব্যাপারে যা বললেন শিবির সভাপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিবির সভাপতি গতকালের এক বক্তব্যে যুবক-যুবতীদের মধ্যে হারাম সম্পর্কের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে রমজান মাসের পবিত্রতা আমাদের আত্মশুদ্ধি ও ঈমানী শক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। গত রমজান মাসের পরিস্থিতি স্মরণ করে তিনি বলেন, যে কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান, এমনকি সাধারণ প্রোগ্রামেও হামলা চালানো হয়েছে এবং অনেক শিক্ষার্থীকে রক্তাক্ত করা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, কোরআন রিসাইটেশন এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রোগ্রামগুলোর বিরুদ্ধে নানা বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে।

এছাড়া তিনি তুলে ধরেন, রমজান মাসের মর্যাদা আল্লাহর পক্ষ থেকে দেয়া এক বিশেষ রুহানি উপহার। কোরআন দ্বারা অন্ধকার যুগে মানুষের মধ্যে আলোকসজ্জা এসেছে। তার মতে, সমাজ পরিবর্তন হয় কেবল তখনই, যখন মানুষের হৃদয়ে আল্লাহর আলো প্রবাহিত হয় এবং কোরআনের হিদায়েত অনুসরণ করা হয়।

শিবির সভাপতি আরও বলেন, তাকওয়া (আল্লাহর ভয়) অর্জন করা অত্যন্ত জরুরি, এবং রমজান মাস তার জন্য সেরা সুযোগ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা দুর্নীতি, এবং যদি মানুষ আল্লাহর ভয় রাখত, তবে তারা কখনো দুর্নীতি করত না। তিনি একটি প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন, যেখানে হযরত উমর (রাদিয়াল্লাহু তাআলা) রাতে মানুষের কথা শোনার জন্য হেঁটে বেড়াতেন। একদিন তিনি শুনতে পান, এক বৃদ্ধা তার মেয়েকে দুধে পানি মেশানোর পরামর্শ দিচ্ছিলেন, যাতে তাদের মুনাফা বাড়ানো যায়। মেয়েটি বলেছিল, যদি ওমরের সৈন্যরা দেখে, তবে তারা শাস্তি দিতে আসবে। বৃদ্ধা তখন বলেছিলেন, "ওমর হয়তো এখানে নেই, কিন্তু আমাদের সৃষ্টিকর্তা সব কিছু জানেন।"

শিবির সভাপতি বলেন, হারাম সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি এবং ইসলামের নীতি অত্যন্ত স্পষ্ট। তিনি বলেন, যদি আপনি চান না যে আপনার ছোট ভাই বা বোন এমন কোনও কাজ করুক যা আপনার পিতা-মাতা বা সমাজ পছন্দ করেন না, তাহলে সেই কাজটি কখনোই আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। এই ধরনের সম্পর্ক ইসলাম অনুমোদন করে না এবং এটি তাকওয়ার সাথে সরাসরি বিরোধী।

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি এমন কাজে লিপ্ত হই যা সমাজের মূল্যবোধের বিরোধী, তবে তা আমাদের ঈমানের সাথে অমিল হবে। "তাকওয়া" অর্জন করতে হলে আমাদের এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। আমাদের জীবনে প্রতিটি কাজই এমন হওয়া উচিত, যাতে সমাজ, আল্লাহ এবং আমাদের পরিবার সম্মানিত হয়।

শিবির সভাপতি অবশেষে আল্লাহর বিধি অনুসরণের আহ্বান জানান এবং সবাইকে মনে করিয়ে দেন যে, আমাদের সব কাজ আল্লাহর নজরে থাকে। কিয়ামতের দিন, আমাদের আমলনামা সকলের সামনে উপস্থিত হবে এবং প্রতিটি কাজের হিসাব আল্লাহর কাছে দিতে হবে। তাই, জীবনের প্রতিটি কাজের প্রতি সচেতন হতে হবে, বিশেষত হারাম সম্পর্ক এবং এর নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে।

তিনি সকলের জন্য দোয়া করেন, বিশেষভাবে গত আন্দোলনে শহীদ হওয়া ব্যক্তিদের জন্য এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করেন।

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে