ঢাকা, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

শামীমের দাবিতে তোলপাড়, ছাত্রদলের রাজনীতি নিয়ে নতুন বিতর্ক

২০২৫ জানুয়ারি ১৫ ১৯:০০:৫০
শামীমের দাবিতে তোলপাড়, ছাত্রদলের রাজনীতি নিয়ে নতুন বিতর্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক : ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিনুল হক শামীম সম্প্রতি একটি বিস্ময়কর দাবি করেছেন। তিনি নিজেকে "প্রতিষ্ঠাতা ছাত্রদল নেতা" হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তার এই দাবি রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। ৯ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে পাঠানো একটি পত্রে শামীম এই দাবি করেন।

শামীম ময়মনসিংহ পরিবহন মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি, ঢাকা জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সহ-সভাপতি এবং এফবিসিসিআইয়ের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট। তিনি ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্সের বর্তমান সভাপতি। ২০১৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। এর আগে তিনি জামালপুরে লেখাপড়া করার সময় ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন বলে তিনি দাবি করেছেন।

নিজেকে ছাত্রদল নেতা হিসেবে দাবি করা শামীম আরো অভিযোগ করেছেন যে, তাকে ময়মনসিংহ রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে হেনস্তা করছেন। তার মতে, তাকে শহীদ সাগর হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলায় ভুলভাবে আসামি করা হয়েছে। যদিও মামলার বাদী এক পত্র মারফত জানান, শামীম সাগর হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি নন।

শামীমের ছাত্রদলের রাজনীতি নিয়ে জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ ওয়ারেস আলী মামুন বলেন, "আমিনুল হক শামীম জামালপুরে লেখাপড়া করেছেন, কিন্তু তার ছাত্রদলের পদ-পদবির বিষয়ে কোনো তথ্য বা প্রমাণ নেই। তিনি পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন এবং এখন আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে পরিচিত।"

শামীম এক সময় বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। একাধিক জাতীয় পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল, যার জন্য তিনি ময়মনসিংহ আদালতে মামলা করেছিলেন। পরবর্তীতে ওই মামলা আপস মীমাংসা হয়।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম খান শফিক জানান, শামীম সাগর হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এছাড়া তিনি একাধিক মামলার সন্দেহভাজন আসামি। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার অভিযান চলছে।

এদিকে, ময়মনসিংহ রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ড. মো. আশরাফুর রহমান বলেন, "শামীম পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিভিন্ন দরখাস্ত করছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় জড়িত থাকার তথ্য রয়েছে এবং এসব দরখাস্ত তিনি প্রশাসনকে বিব্রত করার উদ্দেশ্যে করেছেন।"

এই বিষয়ে জানতে একাধিকবার শামীমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ক্ষুদেবার্তাও পাঠানো হয়েছিল, তবে সাড়া পাওয়া যায়নি।

এই ঘটনাটি ময়মনসিংহের রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে এর ফলাফল কী হবে, তা নিয়ে সকলের মনোযোগ রয়েছে।

কেএইচ/

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে