ঢাকা, সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

অনশন প্রত্যাহার, শাটডাউন কর্মসূচি চলবে

২০২৫ জানুয়ারি ১৩ ২২:৩৮:৫১
অনশন প্রত্যাহার, শাটডাউন কর্মসূচি চলবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: মন্ত্রণালয় থেকে লিখিত অঙ্গীকার পাওয়ায় প্রায় ৩৫ ঘণ্টা পর অনশন প্রত্যাহার করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। তবে তারা ক্যাম্পাস শাটডাউন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় সংবাদ সম্মেলনে অনশন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন জবির উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী একেএম রাকিব।

এর আগে বিকেল ৪টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন তারা। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সচিবালয়ের সামনে এসে পৌঁছান। এ সময় অনশনরত অসুস্থ শিক্ষার্থীরা স্যালাইনের স্ট্যান্ডসহ রিকশায় চড়ে পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। তাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে একেএম রাকিব বলেন, "আগামী বুধবার (১৫ জানুয়ারি) যে মিটিং হবে সেখানে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর চুক্তি স্বাক্ষর হবে- এ মর্মে লিখিত অঙ্গিকার পেয়েছি। বাণী ভবন ও ডা. হাবিবুর রহমান হলে অস্থায়ী স্টিল বেজড ভবন নির্মাণের প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। এছাড়া ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের ভাতা দেয়ার ব্যাপারে যাচাই ও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ফলে আমরা আমাদের অনশন প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।"

যেহেতু তারা ৩টি দাবির দুটি মেনে নিয়েছেন এবং একটি যাচাই করে দেখবেন, সেহেতু আমরা অনশন প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। তবে বুধবারের মিটিংয়ের আগ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শাটডাউন থাকবে।

এর আগে সচিবালয়ের সামনে শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দেন, যেমন- "বিপ্লবে বলীয়ান", "নির্ভীক জবিয়ান", "অ্যাকশন টু অ্যাকশন", "ডাইরেক্ট অ্যাকশন", "সংগ্রাম সংগ্রাম" প্রভৃতি।

এদিন দুপুর দুইটায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সেনাবাহিনীকে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর নিয়ে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়। চিঠিতে জানানো হয়, সেনাবাহিনীর কাছে কাজ হস্তান্তর বিষয়ে বুধবার সচিবালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবে।

এর পরেই শিক্ষার্থীরা তাদের তিনটি দাবি জানায়, যেগুলো হল-১. সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে স্বাক্ষর করতে হবে।২. পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু ও শেষ করতে হবে।৩. ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে, যতদিন না পর্যন্ত আবাসন ব্যবস্থা হয়।

এদিন সকাল থেকে পুরো ক্যাম্পাস শাটডাউন ও টানা দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনসহ অন্যান্য স্থানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। শাটডাউন কর্মসূচির সাথে একাত্মতা পোষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগ ও দপ্তরে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, "আমাদের সন্তানরা জীবনের বাজি রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য, আবাসনের জন্য অনশনে ছিল। আশা করছি, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ ত্বরান্বিত হবে।"

বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, "শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলেই আমাদের এই কার্যক্রম আরও সহজ ও ত্বরান্বিত হয়েছে। আমাদের কাজ অনেক এগিয়ে গেছে। মিটিংয়ে প্রকল্পের অবস্থাও বিশ্লেষণ করা হবে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।"

উল্লেখ্য, রবিবার (১২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে অনশন শুরু হয়। অনশনে অসুস্থ হয়ে প্রায় ১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। উপাচার্যের বারবার অনুরোধেও শিক্ষার্থীরা অনশন ভাঙেননি।

কেএইচ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে