ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
Sharenews24

নতুন করে ২৩ পোশাক কারখানা বন্ধ

২০২৪ সেপ্টেম্বর ২৩ ১৪:১৫:২৩
নতুন করে ২৩ পোশাক কারখানা বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিভিন্ন দাবিতে ফের অচলাবস্থায় পরেছে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে পড়েছে আশুলিয়ার জিরাবো, নরসিংহপুর, জামগড়া এলাকার বৃহৎ কয়েকটি পোশাক কারখানা। রোববার অনির্দিষ্টকালের জন্য ২২টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হলেও সোমবার আরো ২৩টি কারখানা বন্ধ হয়ে যায়।

তবে এখনও বাকি কারখানাগুলোতে উৎপাদন প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিল্প পুলিশ আশুলিয়া জোনের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারওয়ার আলম।

শিল্পাঞ্চলে ১ হাজার ৮৬৩টি তৈরি পোশাক কারখানার মধ্য চলমান সংকটের আগে থেকেই বন্ধ ছিল ১৬৭টি কারখানা। নতুন করে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ৫৫ টিসহ ২১৯টি শিল্প কারখানা বন্ধ থাকায় গভীর অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন তৈরি পোশাক শ্রমিকরা।

স্থানীয়রা জানান, বোনাস, টিফিন বিল, নাইট বিল বৃদ্ধি বাস্তবায়ন না হওয়ায় গতকাল রোববার বিভিন্ন কারখানায় বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। এরপর ছুটি ঘোষণা করার পর সোমবার থেকে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী হা-মীম গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মালিকানাধীন দ্যাটস ইট স্পোর্টস ওয়ার লিমিটেড, অ্যাপারেল গ্যালারি লিমিটেড, রিফাত গার্মেন্টস লিমিটেড, এক্সপ্রেস ওয়াশিং অ্যান্ড ডাইং লিমিটেড, আর্টিস্টিক ডিজাইন লিমিটেড, নেক্সট কালেকশন লিমিটেড নামের তৈরি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা দেয়।

হামিম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অ.) মঈন আহমেদ বলেন, শত বাধা সত্ত্বেও আমরা উৎপাদনের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করছি। শ্রমিকদের ২৭ টি দাবি মেনে নেওয়ার পরও তারা কাজে যোগদান না করায় আমরা বিকল্প ব্যবস্থায় রাত দিন কাজ করছি যেন আমাদের শিপমেন্ট নিয়ে বিদেশি বায়াররা হতাশ না হন।

হা-মীম গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, কারখানার পরিবেশ নিরাপদ হলে শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কারখানা খুলবে।

এদিকে, নজিরবিহীন নিরাপত্তা সত্ত্বেও শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হওয়া কারখানার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শ্রম খাত ও পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বিদেশি ক্রেতারা।

তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তাসহ নানা উদ্যোগ নেওয়ার পরও পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হচ্ছে না। কোথাও কোথাও ন্যূনতম বেতন ২৫ হাজার টাকা দাবি করায় নতুন করে অস্থিরতার তৈরি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কারখানা চালু রাখার মতো অবস্থা নেই।

যেকোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে শিল্পাঞ্চলে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ, আর্ম পুলিশ, শিল্প পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্যদের যৌথ টহল। শিল্প প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষায় বিভিন্ন কারখানার সামনে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান, র‌্যাব, পুলিশের রায়ট কার ও জলকামান।

এস/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে