ঢাকা, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

হাসিনা পালিয়ে গেলেও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে যেভাবে বাধ্য হতে পারেন

২০২৪ সেপ্টেম্বর ০৫ ১২:৩৬:১১
হাসিনা পালিয়ে গেলেও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে যেভাবে বাধ্য হতে পারেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান অবস্থা বড্ড করুণ। প্রায় কোন দেশেই রাজনৈতিক আশ্রয় পাচ্ছেন না তিনি। ব্রিটেনকে বলা হয় মানবতার ফেরিওয়ালা, তারা দুর্নীতিগ্রস্তদের দ্বিতীয় বাড়ি। বেশ কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক নেতা এবং ব্যবসায়ীদের আশ্রয় দেওয়া হয় ব্রিটেনে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এদের বিচারের আওতায় আনা যায় না।

তবে শেখ হাসিনার সময় যেন একটু বেশিই খারাপ। মানবতার ফেরিওয়ালা ইংল্যান্ড এবং আমেরিকার কাছে থেকেও তিনি পাচ্ছেন না আশ্রয়ের প্রতিশ্রুতি।

অপরদিকে বাংলাদেশ বর্তমানে রয়েছে অস্থিতিশীল অবস্থায়। তবুও দেশের বড় একটি অংশ শেখ হাসিনাকে বিচারের আওতায় আনতে চান। অস্থিতিশীলতা কাটার পর হয়তো প্রেক্ষাপট বদলে যাবে পুরোপুরি। হয়তো জাতীয় দাবিতে পরিণত হতে পারে শেখ হাসিনাকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা।

মোদির সরকার বিগত ছয় মাসে প্রচুর পরিমাণের সমালোচনার শিকার হয়েছে। শেখ হাসিনাকে এভাবে দিনের পর দিন রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া তাদের জন্য ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে। এই অবস্থায় শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানো মানুষের জাতীয় দাবিতে পরিণত হলে নাকচ করা ভারতের পক্ষে সম্ভব হবে না। যদি ধরে নেওয়া হয় ভারত এই ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষভাবে ঢাকা সরকারকে সাহায্য করবে না‌।

আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে তাদের সম্পর্ক কারো অজানা নেই। আর কয়েক বছর এই ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকলে দেশ মোটামুটি ভারতের একটি প্রদেশে পরিণত হতো।

ভারতের প্রত্যক্ষ সাহায্য ছাড়া শেখ হাসিনাকে বিচারের আওতায় আনা দুরূহ। তবে অসম্ভব নয়। ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিগত সময়েও এই ধরনের কাজ সম্পাদন করা হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইব্যুনাল মূলত, যুদ্ধ অপরাধ, গণহত্যা, গুম, মানবাধিকার লঙ্ঘন এই জাতীয় বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে।

সাধারণত কোনো স্বৈরাচারী শাসক কিংবা মিলিটারি জেনারেলের পতনের পর তার বিচার নিজ দেশের আদালতে কোন কারণে সংঘটিত হতে না পারলে, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইবুনালের মাধ্যমে বিচারকার্য সম্পাদন করা হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ট্রাইব্যুনালে দোষী সাব্যস্ত করা গেলে অন্য কোনো দেশ তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে পারবেন না। ফলস্রুতিতে শেখ হাসিনার সর্বশেষ অবলম্বন ভারতও আন্তর্জাতিক চাপের দরুন তাকে হস্তান্তরে বাধ্য হবে।

তবে বাস্তবিক অর্থে ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইবুনালে কোনো কিছু প্রমাণ করা বেশ কষ্টসাধ্য। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ফলাফলের দেখা মিলে না। বিশ্বের অনেক দেশই ট্রাইব্যুনালকে আদর্শ বিচার বিভাগ বলে মনে করেন না। নিঃসন্দেহে ডিক্টেটর ম্যাডামকে বিচারের আওতায় আনা বেশ চ্যালেঞ্জিং।

তবে স্বপ্ন বড় দেখলে চ্যালেঞ্জ নেওয়া অনিবার্য। তাই সত্যিকার অর্থেই যদি আমরা সুষ্ঠু বিচারের পক্ষে অবস্থান করি। তাহলে সম্ভাব্য সব সুযোগই আমাদের জন্য মহা সুযোগ, সম্ভাব্য সব চেষ্টাই আমাদের করণীয়। বলা যায় না চেষ্টা ফলপ্রসূ হতেই পারে। নতুন বাংলাদেশেসবইসম্ভব।

মনিরুজ্জামান/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে