ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

ভারতে পালানোর সময় আওয়ামী লীগ নেতা পান্নার মৃত্যু

২০২৪ আগস্ট ২৪ ২১:৩৬:৫৮
ভারতে পালানোর সময় আওয়ামী লীগ নেতা পান্নার মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারতে পালানোর সময় আওয়ামী লীগ নেতা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না মারা গেছেন।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) মধ্যরাতে মেঘালয়ের শিলং পাহাড়ে ওঠার সময় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু ঘটে বলে জানা গেছে কলকাতায় অবস্থান করা পান্নার এক ঘনিষ্ঠজন শনিবার গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।

পান্নার ঘনিষ্ঠ ওই ব্যক্তি জানান, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বেশ কিছুদিন আত্মগোপনে ছিলেন ইসহাক আলী খান পান্না। তিনি সীমান্ত পার হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন।

তিনি জানান, গতকাল শুক্রবার রাত ১২টায় মেঘালয়ের রাজধানী শিলং-এর একটি পাহাড়ে ওঠার সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এর পরপরই তার মৃত্যু হয়।

তবে পান্নার মৃত্যুর কারণ নিয়ে ভিন্ন তথ্যও পাওয়া গেছে। কেউ কেউ বলছেন, পাহাড়ে ওঠার সময় পা পিছলে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পান্নার মৃত্যুর বিষয়ে বড় ভাইয়ের শ্যালক জসিম উদ্দিন খান জানান, ৩ দিন আগে পান্নার সঙ্গে তার ফোনে কথা হয়েছে। তিনি ২৫ জুলাই পিরোজপুর শহরের বাড়িতে এসে ২ দিন থাকার পর ফিরে যান।

এরপর বিভিন্ন সূত্রে তারা জানতে পারেন, পান্না সিলেটের তামাবিল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। ওপারেই তার মৃত্যু হয়। তবে সেটি স্ট্রোকজনিত কারণে নাকি অন্য কোনো কারণে তা নিশ্চিত করতে পারেননি তারা। সীমান্তের ভারত প্রান্তের একটি থানায় তার মরদেহ রয়েছে বলে জানিয়েছেন জসিম।

গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন ইসহাক আলী খান পান্না। সেদিনই তার পিরোজপুর শহরের পাড়েরহাট সড়কের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা ভাঙচুর ও আগুন দেয়।

পিরোজপুরের পৈত্রিক নিবাসে পৃথক দ্বিতল ভবন করেছিলেন পান্না। তার এক ভাই ওই বাড়িতে থাকলেও সরকার পতনের পর থেকে তিনিও আত্মগোপনে চলে যান। পান্নার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার বেকুটিয়া গ্রামে। তবে গ্রামের বাড়িতে তার যাতায়াত তেমন ছিল না।

ইসহাক আলী খান পান্নার স্ত্রী আইরীন পারভীন বাঁধন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৪৫ বছর বয়সে ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল মারা যান। আইরীন সরকারের উপ-সচিব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের ভিপি ছিলেন।

স্ত্রীর মৃত্যুর পর পান্না আর বিয়ে করেননি। তাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে, তবে সে পালিত সন্তান বলে জানা গেছে।

ইসহাক আলী খান পান্না ১৯৯৪ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। এর আগে ২০০৮ সালে তিনি পিরোজপুর-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান, তবে পরে দলীয় জোটের কারণে তাকে সরে যেতে হয়। পেশাগত জীবনে তিনি ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর চেয়ারম্যান ছিলেন।

মিজান/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে