ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে ১ কোটি টাকা পাওনার অভিযোগ

২০২৪ আগস্ট ০৮ ০৬:৩৬:৫৬
সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে ১ কোটি টাকা পাওনার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য প্রতিষ্ঠান মোনার্ক হোল্ডিংস-এর অন্যতম মালিক কিক্রেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে ১ কোটিরও বেশি টাকা অনদায়ের অভিযোগ তুলেছেন এক পাওনাদার।

জানা যায়, ২০১৬ সালে সাতক্ষীরা উপকূলের দাতিনাখালি এলাকায় সড়কের ধারে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান গড়ে তোলেন একটি কাকড়া খামার। নাম দেন সাকিব আল হাসান এগ্রো ফার্ম। স্থানীয় ১০-১২ জন জমির মালিকের কাছ থেকে লিজ নেন ৪৮ বিঘা জমি।

কাকড়া হ্যাচারীতে সফট সেল কাকড়া নিলেও আজও টাকা পরিশোধ করেননি ক্রিকেটার ও সদ্য বিলুপ্ত সংসদের আ.লীগের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান। তার কাছে কোটি টাকারও বেশী পাওনা রয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই পাওনাদার। তার নাম জুলফিকার আলী।

মুন্সিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের পাশের ওই বাসিন্দা সফট সেল কাকড়া দিতেন সাকিবের হ্যাচারীতে। জুলফিকার আলী বলেন, "আমরা কাকড়া দিয়ে মাস শেষে টাকা নিতাম। হিসাব রাখতো সাকিবের খামারের দায়িত্বরত ম্যানেজার। এভাবে চলতে চলতে আমার প্রায় তিন মাসের টাকা দেয়নি। আমি এখনো ৫-৬ লাখ টাকা পাবো।"

তিনি বলেন, সাকিব, তার বন্ধু পাভেল, ইমদাদ ও আরেকজনসহ মোট চারজন খামারটি করেছিলেন। আমরা মূলত সাকিবকে দেখেই তাদের সঙ্গে ব্যবসায় যুক্ত হয়েছিলাম। মেমোতেও সাকিবের নামই ছিল।

জুলফিকার আলী বলেন, ২০২১ সালে খামারটি বন্ধ হওয়ার পরে নানাভাবে আমরা চেষ্টা করেছি টাকা আদায় করতে। তবে কোনভাবেই আদায় করতে পারিনি। বছরখানেক আগে মাগুরায় সাকিব আল হাসানের বাড়িতে গিয়েছিলাম তার বাবার কাছে। আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল। তারপর থেকে বিষয়টি সেভাবেই রয়েছে। টাকা পাবো তার মেমো বা প্রমাণপত্র এখনো রয়েছে।

জুলফিকার আলী অভিযোগ করেন, সাকিব আল হাসানের কাছে পাওনা ৩০ লাখ টাকার শোকে মারা গেছেন বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের ভামিয়া গ্রামের গুরু দাস।

তিনি বলেন, গুরু দাস হার্ড কাকড়া দিতেন সাকিবের খামারে। ৩০ লাখ টাকা বাকি পড়ে তার। গুরু দাস, আমিসহ ৪-৫ জন সাকিবের বাড়িতে গিয়েছিলাম। বাড়ি থেকে সাকিবেরর বাবা খারাপ ব্যবহার করে বের করে দেওয়ার পর মন খারাপ করে আমরা ফিরি।

তিনি আরও বলেন, গুরুদাসের ব্যবসা ভালো যাচ্ছিলো না। অন্যরা তার কাছে টাকা পাবে। এদিকে সাকিবের কাছে পাওনা টাকাও পাচ্ছিলো না। এই সব নিয়ে চিন্তায় স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান গুরুদাস। আমরা ১৩-১৪ জন এখনো সব মিলিয়ে কোটি টাকারও বেশী পাবো ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের কাছে। আমরা আমাদের পাওনা টাকা ফেরত চাই।

এএসএম/

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে