ক্রীড়া প্রতিবেদক : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ ছাড়া আর কোনো ম্যাচেই দেড়শ রানও সংগ্রহ করতে পারেনি বাংলাদেশ। অ্যান্টিগায় যেখানে দলের বাকিরা অনায়াসে রান তুলেছে, সেখানেও লড়াই করতে হয়েছে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের।

এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচ খেলা বাংলাদেশের একমাত্র অর্ধশতক হয়ে আছে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সাকিবের ইনিংসটি। ওই ইনিংস বাদ দিলে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি কোনো ব্যাটারই।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৪০ রান করা বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে করেছে ১৪৬ রান। নয়টা বিশ্বকাপ খেলা বাংলাদেশ এখনো পড়ে আছে সেই ২০১০ সালের ক্রিকেটেই।

অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি অ্যাডাম গিলক্রিস্টের মতে, বাংলাদেশের এখন জুনিয়রদের নিয়েই সামনের দিকে তাকানো উচিত। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী এই উইকেটকিপার জানান, তরুণ খেলোয়াড়দের এখন টানা সুযোগ দেয়া উচিত এবং তারা কয়েকটা খারাপ পারফরম্যান্স করলেই যেন ছুড়ে ফেলা না হয়।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উচিত কিছু তরুণ খেলোয়াড়কে সুযোগ দেওয়া। তাদেরকে টানা খেলার সুযোগও দিতে হবে। কয়েকটা খারাপ পারফরম্যান্স গেলেই দল থেকে ছুঁড়ে ফেলা যাবে না।’

এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলে আছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেরই সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার। এখন পর্যন্ত হওয়া ৯টি বিশ্বকাপেই খেলেছেন সাকিব আল হাসান। আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ খেলেছেন ৮টি বিশ্বকাপ।

অথচ এই বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অর্ধশতকটা বাদ দিলে ব্যর্থই বলা যায় সাকিবকে। আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে ফিনিশিং দেয়ার ব্যাপারটা বাদ দিলে ব্যর্থ রিয়াদও।

তারা কেউই দলের প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। তাই গিলক্রিস্টের পরামর্শ, বাংলাদেশকে এখন সাকিব ও রিয়াদকে ছাড়াই এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে হবে।

অস্ট্রেলিয়ার এই কিংবদন্তি বলেন, ‘বাংলাদেশ দলে কারা ভিত্তি হবে সেটি তাদের ঠিক করতে হবে। দলের নেতা কে হবে, কাদেরকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যাবে এসব ভাবার সময় এখন। মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব তাদের ক্যারিয়ারের শেষ দিকে চলে এসেছে। তাদেরকে ছাড়াই এখন এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা কর‍তে হবে বাংলাদেশকে।’

তারিক/