নিজস্ব প্রতিবেদক : বিয়ের দাবিতে ঢাকা থেকে ভোলায় অনশন করেছেন প্রেমিকা সাদিয়া জান্নাত। তিনি ঢাকার ইডেন কলেজের প্রাক্তন ছাত্রী। অনশনের অভিযোগে আত্মগোপনে রয়েছেন প্রেমিকা।

সাদিয়া জান্নাত জানান, দেড় বছর আগে চাকরির পরীক্ষার সময় মিজানুর রহমান তৈয়বের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ের জের ধরে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

চাকরি হলে মিজান তাকে বিয়ে করবেন এমন আশ্বাসে তাদের সম্পর্ক আরো গভীর হয়। তিনমাস আগে মিজানের তিতাস গ্যাস কোম্পানীতে চাকরি হয়।

এরপর থেকেই সাদিয়াকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন মিজান। তার মোবাইল নম্বর, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপসহ সবকিছুতে ব্লক করে দেন প্রেমিক।

গত ১২ এপ্রিল সাদিয়া মিজানের ওমরপুর গ্রামের হাওলাদার বাড়িতে এসে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন ডেন কলেজের সাবেক ওই ছাত্রী। তখন থানা পুলিশ ও স্থানীয় গণমান্যদের সমঝোতার আশ্বাসে অনশন প্রত্যাহার করেন তিনি।

এই ঘটনার পর পুলিশ মিজানের দুই ভাইকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে মিজানের সামনে হাজির হওয়ার শর্তে জামিনে মুক্তি পান তারা। গত ১৮ এপ্রিল মিজানের সঙ্গে তার বিয়ের কথা হয়। কিন্তু নির্ধারিত দিনে হাজির হননি মিজান।

স্থানীয় সমঝোতার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে দ্বিতীয় দফা অনশন শুরু করেন সাদিয়া। তিনি বলেন, তিনি নিরূপা হয়ে ওই বাড়িতে এসেছেন। বিয়ে করা ছাড়া তার আর কোনো উপায় নেই। বিয়ের আগ পর্যন্ত মিজানের বাড়িতেই থাকবেন তিনি।

মিজানের বাবা মোজাম্মেল হক হাওলাদার জানান, সাদিয়া বাড়িতে আসার আগ পর্যন্ত তিনি কিছুই জানতেন না। ছেলে ঢাকায় থাকে। এটি ছেলে-মেয়ের ব্যক্তিগত বিষয়।

চরফ্যাশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নওরীন হক বিষয়টি মীমাংসার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিয়েছেন। সাদিয়াকে মিজানের বাবার হেফাজতে রেখেছেন চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম আনাশকারী।

শেয়ারনিউজ, ২১ এপ্রিল ২০২৪