ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

ইতালিয়ানদের সম্মানে ভেনিস বাংলা স্কুলের ইফতার ও আলোচনা

২০২৪ এপ্রিল ০৭ ১৫:২৭:১৯
ইতালিয়ানদের সম্মানে ভেনিস বাংলা স্কুলের ইফতার ও আলোচনা

প্রবাস ডেস্ক : ইতালির ভেনিস বাংলা স্কুলে শনিবার (০৬ এপ্রিল) আলোচনা ও ইফতার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশসহ বিশ্ব মানবতার কল্যাণ কামনায় দোয়া করা হয়। এ সময় প্রায় ৩০ জন ইতালীয় শিক্ষক, সাংবাদিক এবং অন্যান্য পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভেনিস বাংলা স্কুলের সভাপতি সৈয়দ কামরুল সরোয়ার।

আলোচনা ও ইফতার অনুষ্ঠানে প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার কামরুল হাছান বলেন, ইসলাম দাঁড়িয়ে আছে পাঁচটি স্তম্ভের ওপর। প্রথমটি হলো কালিমা বা শাহাদাত। অর্থাৎ এক আল্লাহ এবং নবী রাসুলগণের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। যারা এটি করবে তারা মুসলিম। আর একজন মুসলিমের ওপর আল্লাহ রোজার বাধ্যবাধকতা দিয়েছেন, যেমন দিয়েছিলেন অন্যান্য নবী রাসুলগণের অনুসারীদের ওপর।

সুতরাং রোজা শুধু মুসলিমদের জন্য নয় বা নবী মোহাম্মদ প্রদত্ত নতুন কিছু নয়। অন্যান্য ধর্ম অবলম্বীদের জন্যও রোজার বাধ্যবাধকতা আছে বা ছিল। যেমন, বাইবেল অনুসারীরাও ৪০ দিন উপবাস করেন।

কামরুল হাছান বলেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে ইতালীয় বন্ধুদের কাছ থেকে কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হই। যেমন, বর্তমান সময়ে যুদ্ধ-বিগ্রহের কারণে জিহাদ শব্দটা বারবার সামনে আসছে। আমাদের বুঝতে হবে জিহাদ অর্থ ধর্ম যুদ্ধ নয়। জিহাদের অনেক রূপ আছে। কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়, ইনসাফ, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টার নাম জিহাদ। হুট করে অস্ত্র-পাতি, বোমা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ার নাম জিহাদ নয়, ওটা সন্ত্রাস। জিহাদ এবং সন্ত্রাস দুইটা আলাদা বিষয়। কেউ জিহাদ করতে চাইলে ইসলামের বিধান মেনে করতে হবে। মনগড়া কোনো মতবাদে হিজাদ হয় না। অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করলে তা গোটা মানবজাতিকে হত্যার শামিল অপরাধ হিসাবে গণ্য করে ইসলাম।

আলোচনায় তিনি রোজার আধ্যাত্মিক ও সাইন্টিফিক দিকসহ মুসলিম নারীদের হিজাব ব্যবহারের বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা নিয়ে কথা বলেন।

তিনি যোগ করেন, ইতালীয় সংবিধানের ১৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ইতালিতে বসবাসকারী সকল ধর্মের মানুষ তাদের ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন, প্রচার এবং উদযাপন করতে পারবে। কিন্তু মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব ঈদের দিনে মুসলিম শিক্ষার্থীদের ছুটি দেওয়া হয় না। কর্মজীবীদের বাধ্যতামূলক কাজে যেতে হয়। এতে সামাজিক এবং ধর্মীয় বৈষম্য সৃষ্টি হয়। যা মুসলিমদের ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। ইতালীয় সরকারের উচিত এই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে ছিলেন, পলাশ রহমান, মারতা লাভারা ফাচ্চিনি, জাকমো বেল্লাতো, সোহেলা আক্তার বিপ্লবী, আনতোনিয় স্পানো, আলেসসানদ্রো, জান্নি দাল্লা পেল্লেগ্রিনা, জাদা, ক্লাউদিয়া মানতোভান, মানুয়েলা যোরদানা, আকতার উদ্দিন, মোহাম্মদ উল্লাহ সোহেল, আনদ্রেয়া অনোরি, ভালেরিয়া তোনিয়লি, আলেসসানদ্রা বারদেল্লি, গাবরিয়েলে মালুতা, মারিয়া কারমেলা, সেরজো, ফাবরিচ্ছিয়, লাওরা, মিকেয়লা, কাজী টিপু, জানফ্রাংকো বোনেচ্ছো, ইকবাল হাসান, ফিয়রিনা মাসুম, লোরেনছো পোরচিলে।

শেয়ারনিউজ, ০৭ এপ্রিল ২০২৪

পাঠকের মতামত:

প্রবাস এর সর্বশেষ খবর

প্রবাস - এর সব খবর



রে