ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

রাস্তায় বিমা ছাড়া চলবে না কোনো যানবাহন

২০২৩ আগস্ট ১২ ২০:০০:০৭
রাস্তায় বিমা ছাড়া চলবে না কোনো যানবাহন

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিমা ছাড়া রাস্তায় মোটরসাইকেল, যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত ও অফিশিয়াল গাড়ি, ট্রাকসহ কোনো ধরনের যানবাহনই চলাচল করতে পারবে না।

যদি নিয়ম অমান্য করে গাড়ি চালানো হয়, তাহলে গুণতে হবে জরিমানা। এমনকি মামলাও করতে পারবে পুলিশ। গত চার মাস ধরে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ সংশোধনের কাজ করছে বিআরটিএ।

এর আগে গত চার মাস আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ আইনটি সংশোধন করার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপর ন্যস্ত করে। বিভাগটি ইতিমধ্যে আইন সংশোধনের খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে বলে জানা গেছ।

আইনটি জাতীয় সংসদের আগামী নির্বাচনের আগে এই আইনটি সংশোধনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

আইন সংশোধনের পর সড়কে বিমা ছাড়া গাড়ি চলাচলে গুনতে হবে অন্তত তিন হাজার টাকা জরিমানা। একই আইনে মামলাও করতে পারবে পুলিশ।

এর আগেও যানবাহনে বিমা বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু ২০১৮ সালে সড়ক পরিবহন আইন করে তা তুলে দেওয়া হয়।

এর আগে গত ১ মার্চ অনুষ্ঠিত জাতীয় বিমা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিমা ছাড়া যানবাহন চলাচল করতে না পারার বিষয়ে নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমরা এই ব্যাপারে দেখব যে যথাযথ বিমা ছাড়া সড়কে কোনো যানবাহন যেন না চলে।’

প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকেই আইন সংশোধনের ভিত্তি হিসেবে নেয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। তারপর এই সংক্রান্ত আইন সংশোধনের প্রস্তাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি সারসংক্ষেপ পাঠালে প্রধানমন্ত্রী তাতে অনুমোদন দেন।

ওই সারসংক্ষেপে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮–এর ধারা সংশোধনের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলা হয়, বিশ্বের কোনো দেশই বিমা ছাড়া সড়কে কোনো যানবাহন চলতে দেয় না।

পরিবহন আইনে যে ধারাগুলো বদলাচ্ছেবিদ্যমান সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮–এর ৬০ ধারার অধীন যাত্রী বা মোটরযানের বিমা নিয়ে চারটি উপধারা আছে। আইন সংশোধন করে এখন এগুলো স্পষ্ট করা হবে বলে জানা গেছে।

একটি উপধারায় বলা আছে, কোনো মোটরযানের মালিক বা প্রতিষ্ঠান ইচ্ছা করলে তার মালিকানাধীন যেকোনো মোটরযানের জন্য যে সংখ্যক যাত্রী পরিবহনের জন্য নির্দিষ্টকৃত, তাদের জীবন ও সম্পদের বিমা করতে পারবে।

আরেক উপধারায় বলা আছে, মোটরযানের মালিক বা প্রতিষ্ঠান তার অধীন পরিচালিত মোটরযানের জন্য যথানিয়মে বিমা করবে। মোটরযানের ক্ষতি বা নষ্ট হওয়ার বিষয়টি বিমার আওতাভুক্ত থাকবে এবং বিমাকারীর মাধ্যমে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী হবে।

আরেক উপধারায় বলা আছে, মোটরযান দুর্ঘটনায় পড়লে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা নষ্ট হলে ওই মোটরযানের জন্য আর্থিক সহায়তা তহবিল থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ দাবি করা যাবে না।

আবার বলা হয়েছে বিমার শর্ত, বিমার দায়দায়িত্বের সীমা, বিমার দেউলিয়াত্ব, বিমা দাবি পরিশোধ, বিরোধ-নিষ্পত্তি, বিমা সনদের কার্যকারিতা ও তা হস্তান্তর এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধির মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।

শেয়ারনিউজ, ১২ আগস্ট ২০২৩

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে