ঢাকা, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
Sharenews24

পাখির মতো মানুষ মারা সেই সেনা কর্মকর্তার বর্তমান অবস্থা 

২০২৫ অক্টোবর ২৬ ০৮:২৯:২৯
পাখির মতো মানুষ মারা সেই সেনা কর্মকর্তার বর্তমান অবস্থা 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার রামপুরায় সংঘটিত ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নির্দয় আচরণের একটি চিত্র ফুটে উঠেছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রিদওয়ানুল ইসলাম নামে একজন কর্মকর্তা বিক্ষোভকারীদের দিকে নির্বিচারে গুলি ছুড়ছেন। তার এই কর্মকাণ্ডকে "মানুষ শিকারের প্রশিক্ষণ" নেওয়ার মতো নির্দয় আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

ভিডিওতে, বিজিবি ইউনিফর্ম পরিহিত রিদওয়ানুল ইসলামকে একটি স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে একের পর এক গুলি ছুড়তে দেখা যায়। তার এই নির্লজ্জ নিষ্ঠুরতার দৃশ্য দেশ ও বিদেশের বিবেকবান মানুষকে স্তম্ভিত করেছে, যার ফলস্বরূপ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

গত ৮ অক্টোবর, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সেনাবাহিনীর বর্তমান এবং সাবেক ১৩ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এই কর্মকর্তাদের তালিকায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রিদওয়ানুল ইসলামের নামও অন্তর্ভুক্ত ছিল। ট্রাইব্যুনাল থেকে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় তাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।২২ অক্টোবর তারিখে, এই ১৩ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ১৫ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় দেখা যায়, রামপুরার প্রতিবাদে "নৃশংসতা" চালানো মোহাম্মদ রিদওয়ানুল ইসলামকেও আদালতে নিয়ে আসা হয়েছে, এবং তাকে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সবুজ প্রিজন ভ্যান থেকে তাকে ট্রাইব্যুনালে আনা-নেওয়ার পুরো সময় জুড়ে তাকে "নির্লিপ্ত" দেখা গেছে।

আইনজীবীরা দাবি করেছেন যে, রিদওয়ানুল ইসলামের গুলি চালানোর ফুটেজটি মানবতাবিরোধী অপরাধ প্রমাণের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তাদের মতে, এই ভিডিওটি রাষ্ট্রীয় নির্দেশে বিক্ষোভকারীদের উপর প্রাণঘাতী হামলার সরাসরি প্রমাণ বহন করে। জুলাই মাসের বিদ্রোহের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর অনেক সদস্যই বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল, কিন্তু তাদের সকলের এমন বর্বরতার দৃশ্য ক্যামেরায় ধরা পড়েনি। তবে টেলিভিশনের ক্যামেরায় রিদওয়ানুল ইসলামের গুলি চালানোর দৃশ্যটি ধারণ করা হয়েছিল, যা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একাংশের অমানবিকতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করেন, এই ধরনের আরও অনেক গোপন ভিডিও এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া গেলে পুরো ঘটনার একটি সুস্পষ্ট চিত্র উদ্ঘাটিত হবে।

মুয়াজ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে