ঢাকা, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
Sharenews24

অবশেষে জানা গেলো র‌্যাব-১ আয়নাঘর এর অবস্থান 

২০২৫ অক্টোবর ২৫ ১০:২৫:৩৩
অবশেষে জানা গেলো র‌্যাব-১ আয়নাঘর এর অবস্থান 

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিরোধী রাজনৈতিক কর্মী ও ভিন্নমতাবলম্বীদের আটক ও নির্যাতনের জন্য র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-১ সদর দপ্তরের পেছনে একটি গোপন বন্দিশালা বা তথাকথিত ‘আইনাঘর’ পরিচালিত হতো বলে দাবি উঠেছে।

ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান প্রকাশিত এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, র‍্যাব সদর দপ্তরের টাস্ক ফোর্স ইন্টারোগেশন সেল (TFI Cell)-এর ভেতরে একটি গোপন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের আটকে রেখে নির্যাতন চালানো হতো।

প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনসহ আটজন নিখোঁজ হন। নিখোঁজদের পরিবার দাবি করেছে, সুমনকে র‍্যাব সদস্যরাই তুলে নিয়েছিল।

সাজেদুলের পরিবারের সদস্যরা জানান, র‍্যাব-১ এর তৎকালীন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কিসমত হায়াত তাদের একটি ফোন নম্বর দেন, এবং জিয়াউল আহসান নামে আরেক কর্মকর্তা জানান যে, ‘কেউ র‍্যাবের পোশাক পরে সাজেদুলকে অপহরণ করেছে।’

সাজেদুলের মেয়ে জানান, র‍্যাব-১ সদর দপ্তরের মূল ভবনের পেছনে একটি পুরনো ও ভুতুড়ে বাড়ির মতো দেখতে বিল্ডিং রয়েছে, যা দেখে তার ধারণা হয়েছিল — তার বাবা হয়তো সেখানেই বন্দি।

ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর অভিযোগ, ২০১৩ সালের আন্দোলনের সময় সরকারবিরোধী কর্মীদের ওই গোপন বন্দিশালায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও নির্যাতন করা হতো।

দ্য গার্ডিয়ান প্রতিবেদনে র‍্যাব সদর দপ্তরের একটি হাতে আঁকা মানচিত্র প্রকাশ করেছে, যেখানে টাস্ক ফোর্স ইন্টারোগেশন সেলটি দেখানো হয়েছে— এটি পাঁচতলা অফিস ব্লকের প্রথম তলায় অবস্থিত বলে দাবি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, পুরো প্রক্রিয়াটির নেতৃত্ব ও তদারকি করতেন তৎকালীন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কিসমত হায়াত।

বাংলাদেশে গুম, নির্যাতন ও আইনবহির্ভূত আটক ইস্যুতে এই প্রকাশ আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

মুয়াজ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে