ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
Sharenews24

অধ্যাদেশ বাতিলের বদলে সংশোধনে রাজি সচিবালয়ের কর্মচারীরা

২০২৫ জুন ২৫ ২৩:৩০:০২
অধ্যাদেশ বাতিলের বদলে সংশোধনে রাজি সচিবালয়ের কর্মচারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত ঐক্য পরিষদের সদস্যরা একসময় 'সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ' সম্পূর্ণ বাতিলের দাবিতে অনড় থাকলেও বর্তমানে তারা অধ্যাদেশের বিতর্কিত ধারাগুলো সংশোধনেও রাজি হয়েছেন। সরকারের গঠিত পর্যালোচনা কমিটির সঙ্গে বুধবার (২৫ জুন) দ্বিতীয় দফায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই নমনীয়তার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

এর আগে গত ৪ জুন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলকে আহ্বায়ক করে সরকার একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে। এই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. শেখ আবদুর রশীদ। ভূমি মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিবদের এই কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত ঐক্য পরিষদের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, বুধবার সরকারের গঠিত পর্যালোচনা কমিটির সঙ্গে ফোরামের নেতারা দ্বিতীয় দফায় আলোচনায় বসেছেন। এর আগে গত সোমবার প্রথম দফায় তিন সদস্যের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ফোরামের পক্ষ থেকে অধ্যাদেশ জারির পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশের কর্মচারীদের মধ্যে সৃষ্ট ক্ষোভের কারণগুলো তুলে ধরা হয়। ওই বৈঠকে ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম ও মো. বাদিউল কবীর ছাড়াও কো-মহাসচিব মো. নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনায় অধ্যাদেশের বিতর্কিত নিবর্তনমূলক ধারাগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ফোরামের পক্ষ থেকে অধ্যাদেশের কিছু ধারার বিষয়ে জোরালো আপত্তি জানানো হয়েছে। বুধবারের বৈঠকে উভয়পক্ষ নিজ নিজ দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যালোচনা করবে, ঠিক কী কী বিষয়ে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।

নুরুল ইসলাম বলেন, এতদিন তারা অধ্যাদেশ সম্পূর্ণ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করলেও এখন সংশোধনের বিষয়ে তাদের অবস্থান কিছুটা নমনীয় হয়েছে। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, "অধ্যাদেশের বিতর্কিত ধারাগুলো যদি এমনভাবে সংশোধন করা যায়, যাতে এসব ধারা থাকলেও কর্মচারীদের কোনো ক্ষতি হবে না, তাহলে সেটা মেনে নেওয়া যায়।" তার মতে, আলোচনায় অনেক বিষয় উঠে আসে এবং কর্মচারীদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার মতো যেসব ধারা আছে, সেগুলো এমনভাবে সংশোধন করা হলে ক্ষতির শঙ্কা থাকবে না এবং সেক্ষেত্রে তা মেনে নেওয়া সম্ভব।

কো-চেয়ারম্যান আরও বলেন, কর্মচারী ঐক্য ফোরাম এখনো অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে অনড় আছে। তবে, যদি কোনো কারণে শতভাগ সফল হওয়া না যায়, তখন বিকল্প কিছু থাকতে হবে। এই আলোকেই তারা সরকারের পর্যালোচনা কমিটির সঙ্গে আলোচনায় যাচ্ছেন। তিনি নিশ্চিত করেছেন, গত সোমবারের আলোচনায় তারা যেমন অধ্যাদেশ বাতিলের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন, তেমনই সংশোধনের কথাও বলেছেন।

নুরুল ইসলাম জানান, পর্যালোচনা কমিটির সদস্যরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্বীকার করেছেন, কিছু ধারা অধ্যাদেশে অন্তর্ভুক্ত করা ঠিক হয়নি বা যুক্তিসঙ্গত ছিল না। এই স্বীকারোক্তি আলোচনায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মারুফ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে