ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
Sharenews24

কারাগারে বিয়ের পর এবার প্রেমপত্র সিগারেটের প্যাকেটে

২০২৫ জুন ২৪ ১৫:২৫:৩০
কারাগারে বিয়ের পর এবার প্রেমপত্র সিগারেটের প্যাকেটে

নিজস্ব প্রতিবেদক :ধর্ষণ মামলার পর ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক ছাত্রী ইসরাত জাহান প্রিয়াকে কারাগারে বিয়ে করেছিলেন গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল। এরপর মঙ্গলবার (২৪ জুন) মামলার শুনানিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় তাকে। এ সময় আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে স্ত্রী প্রিয়াকে প্রেমের চিঠি দেন নোবেল। এর একটি লেখা ছিল সিগারেটের প্যাকেটের পেছনে— ‘‘তুমি আমার প্রাণের প্রিয়া। তোমাকে ভালোবাসি। আই লাভ ইউ।’’

বেলা ১২টা ২৩ মিনিটের দিকে নোবেল আদালতে হাজির হন। বিচারক এজলাসে না থাকায় কাঠগড়ায় স্ত্রী প্রিয়ার সঙ্গে কথাবার্তা বলেন তিনি। কখনো হাত ধরে, কখনো কানে কানে ফিসফিস করে, হাসিমুখে কথা বলেন দুজনেই। নোবেলের পরনে ছিল সাদা পাঞ্জাবি।

১২টা ৩৮ মিনিটে নোবেল স্ত্রীর হাতে একে একে ১৫-২০টি হাতে লেখা চিরকুট তুলে দেন। বেশিরভাগ চিঠিতে ছিল প্রেমের বার্তা। কিছু চিঠিতে কিছু নাম ও ফোন নম্বরও লেখা ছিল বলে জানা যায়। একসময় তিনি পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেটের কাগজ বের করে প্রিয়াকে দেখান। সেখানে লেখা ছিল — ‘‘তুমি আমার প্রাণের প্রিয়া, তোমাকে ভালোবাসি। আই লাভ ইউ।’’

এক আইনজীবী তখন মজা করে বলেন, “চিরকুটে কী লেখা? একটা ছবি তুলি।” জবাবে নোবেল বলেন, “না না, এগুলো কাউকে দেখিও না। শুধু তুমি দেখবে।”

পরে বিচারক এজলাসে প্রবেশ করলে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন নোবেলের জামিন আবেদন করেন। তিনি আদালতকে জানান, আসামি ও বাদী এখন বিবাহিত। জামিনে বাদীর কোনো আপত্তি নেই। তখন বিচারক বাদী প্রিয়ার মতামত জানতে চান। প্রিয়া বলেন, ‘‘না, আমার কোনো আপত্তি নেই।’’

শুনানি শেষে আদালত নোবেলকে ১ হাজার টাকার মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন। জামিনের পর নোবেল ও প্রিয়া হাসিমুখে একসঙ্গে হাতে হাত ধরে হাজতখানার দিকে যান।

এর আগে, গত ১৯ জুন কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এর একদিন আগে আদালত কাবিন রেজিস্ট্রেশনের নির্দেশ দেন।

মামলার শুরুটা ছিল ভিন্নরকম। গত ১৯ মে ধর্ষণ, নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনে নোবেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন ইসরাত জাহান প্রিয়া। মামলায় অভিযোগ করা হয়, প্রেমের সম্পর্কের সুবাদে নোবেল তাকে নিজের বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন এবং ভিডিও ধারণ করেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, বাসায় না থাকলে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি। একই সঙ্গে একাধিকবার প্রিয়াকে মারধর ও আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ নোবেলকে ডেমরা থেকে গ্রেপ্তার করে।

পরবর্তীতে নোবেল ও প্রিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ও কিছু ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মামলার বাদী প্রিয়াই পরে কারাগারে গিয়ে নোবেলকে বিয়ে করেন।

নোবেলের আইনজীবী জানিয়েছেন, বাদী এখন আসামির স্ত্রী হওয়ায় তার সম্মতিতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করা হবে।

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

বিনোদন এর সর্বশেষ খবর

বিনোদন - এর সব খবর



রে