নিজস্ব প্রতিবেদক: সামাজিক মাধ্যমে আলোচিত রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকি ভট্টাচার্যকে নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে, যার কেন্দ্রে রয়েছেন নাদিয়া ইসলাম নামের এক নারী। ফেসবুকে একটি বিতর্কিত স্ট্যাটাসের পর থেকেই বিষয়টি ঘিরে চলছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা।

কে এই নাদিয়া ইসলাম?

নাদিয়া ইসলামকে নিয়ে আগেও বিতর্ক হয়েছে, তবে সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দেওয়া তার একটি স্ট্যাটাস বিষয়টিকে নতুন মাত্রা দেয়। স্ট্যাটাসে তিনি দাবি করেন, পিনাকি ভট্টাচার্যের একটি আপত্তিকর ছবি ফেসবুক থেকে রিপোর্ট করে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এরপর তিনি ইনবক্সে ছবি সরবরাহ করার প্রস্তাব দেন এবং তা ফেসবুকে দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়ে।

পরে জানা যায়, নাদিয়া ইনবক্সে কিছু ব্যবহারকারীদের কাছে পিনাকি ভট্টাচার্যের একটি নগ্ন ছবি পাঠিয়েছেন। যদিও ছবিটি সত্যিকারের কি না, নাকি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি—তা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

পুরোনো সম্পর্ক ও দ্বন্দ্ব

একাধিক সূত্র জানায়, নাদিয়া ইসলাম ও পিনাকি ভট্টাচার্যের মধ্যে অতীতে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই দুজনের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত হয়। নাদিয়ার অভিযোগ, পিনাকি তাকে ফেক ইমেইল পাঠিয়ে হুমকি দিয়েছেন এবং তার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের চেষ্টা করেছেন। এছাড়া বসনিয়ায় বেড়াতে গিয়ে পিনাকি নাকি কিছু গোপন ফোনালাপ করেছিলেন, যা তাকে সন্দেহে ফেলে দেয়। তাঁর দাবি, এসব কারণেই তিনি পিনাকিকে ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের "ডাবল এজেন্ট" বলে সন্দেহ করেন।

পাল্টা প্রতিক্রিয়া

পিনাকি ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ সূত্র এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং পাল্টা অভিযোগ এনেছে যে, নাদিয়া ইসলাম উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার ব্যক্তিগত ছবি ছড়িয়ে তাকে সামাজিকভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করছেন। পিনাকি নিজেও একটি ফেসবুক পোস্টে এ বিষয়ে মন্তব্য করলেও ছবি বা অভিযোগের সত্যতা নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি।

সামাজিক প্রতিক্রিয়া

নাদিয়ার স্ট্যাটাস এবং বিতর্কিত ছবিটি ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকেই একে ব্যক্তি হেনস্তা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিপন্থী কাজ বলে উল্লেখ করেন। আবার কেউ কেউ বিষয়টি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসেবেও দেখছেন।

মুয়াজ/