ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
Sharenews24

শেয়ারবাজারে বড় পতন: নেপথ্যে ১৭ কোম্পানির চাপ

২০২৫ মে ২৮ ১৮:৪২:৪০
শেয়ারবাজারে বড় পতন: নেপথ্যে ১৭ কোম্পানির চাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিভিডেন্ড নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় দেশের শেয়ারবাজারে বুধবার (২৮ মে) বড় ধরনের ধস দেখা গেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক দিনশেষে কমেছে প্রায় ৬৩ পয়েন্ট, যা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পতন।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মাত্র ১৭টি কোম্পানির নেতিবাচক প্রভাবেই সূচক কমেছে প্রায় ৪০ পয়েন্ট। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ধাক্কা এসেছে ইসলামী ব্যাংক, ওয়ালটন হাইটেক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ও ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর দিক থেকে।

শুধু ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের দরপতন সূচকে কমিয়েছে ৫.৩৫ পয়েন্ট। ওয়ালটন হাইটেক ৫.২৮, আল-আরাফা ব্যাংক ৪.৩৪ এবং ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো ৩.৯২ পয়েন্ট সূচক থেকে মুছে দিয়েছে। এই কোম্পানিগুলো বড় মূলধনী হওয়ায় তাদের দরপতনের প্রভাব বাজারের ওপর ব্যাপকভাবে পড়েছে।

বাকি ১৩টি কোম্পানিও সূচক কমিয়েছে ৩ থেকে ১ পয়েন্টের বেশি। এই ১৭ কোম্পানির মধ্যে ১৪টিই ব্যাংক খাতের, যা ব্যাংক খাতের আর্থিক দুরবস্থার পরিপূর্ণ প্রতিফলন। বিশেষ করে ডিভিডেন্ড নিষেধাজ্ঞার কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি আর্থিক দুর্বলতা ও প্রভিশন ঘাটতির কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৮টি ব্যাংককে ডিভিডেন্ড ঘোষণায় নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরই সরাসরি প্রভাব দেখা যাচ্ছে বাজারে। শুধু ব্যাংক নয়, আজকের পতনে যোগ দিয়েছে ওয়ালটন হাইটেক, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো এবং তিতাস গ্যাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানিও।

ফলে ব্যাংক খাতের নেতিবাচক ধারা অন্যান্য খাতেও ছড়িয়ে পড়ছে, যা বাজারে এক ধরনের ‘চেইন রিঅ্যাকশন’ সৃষ্টি করেছে।

এদিন ডিএসইতে মোট ৩৭৮টি কোম্পানির মধ্যে ২৯৫টির শেয়ার দর কমেছে এবং মাত্র ৬৩টির বেড়েছে। এই চিত্র পরিষ্কারভাবে বিনিয়োগকারীদের হতাশা ও ক্ষতির মাত্রা তুলে ধরে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে দ্রুত এবং কার্যকর নীতিগত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

মিজান/

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে