ঢাকা, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

দুঃখ প্রকাশ করে যা বললেন মাহফুজ আলম

২০২৫ মে ১৬ ১০:৩৪:০৪
দুঃখ প্রকাশ করে যা বললেন মাহফুজ আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক: আমার হতাশা ও ক্ষুব্ধতা কাউকে আঘাত করলে আমি আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। এমনটা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তথ্য উপদেষ্টা লিখেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিগুলোর ন্যয্যতা বিচার করবে শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয়। আরও যুক্ত থাকবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থেকেও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জোরালো ভূমিকা রাখা ও সম্মুখ সারিতে নেতৃত্ব দেয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীদের দাবির একটি ফলপ্রসূ সমাধানে আসতে আমি ভিসি স্যার ও অন্যদের সঙ্গে বসেছিলাম।

তিনি লেখেন, গত পরশু রাত্রে যখন এসব দাবি নিয়ে জবি থেকে আমাকে জানানো হয়, তখন তাদের আমি গতকাল রাত ৯টায় আমার বাসায় আসার আমন্ত্রণ জানাই। কিন্তু গতকাল সকালে তারা আন্দোলনে নামেন এবং যমুনার কাছাকাছি পৌঁছে যান। কাল দুপুর থেকেই ভিসি স্যারের সঙ্গে আমি নিয়মিত যোগাযোগ করেছিলাম। শেষ পর্যন্ত রাতে এক ঘণ্টা ধরে তিনটা টকিং পয়েন্ট নির্ধারণ করে আমি ভিসি স্যার ও শিক্ষকদের সঙ্গে কাকরাইল মোড়ে যাই। সেখানে মিডিয়ার লোকজন শিক্ষার্থীদের থেকে ৫০ মিটার দূরে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু আমি ভিসি স্যারকে বললাম, আমি শিক্ষার্থীদের সামনে গিয়ে কথা বলব।

মাহফুজ আলম আরও লেখেন, ‌সেখানে যাওয়ার পর একটা গ্রুপ স্লোগান দেয়। আমি বিব্রত না হয়ে নিজের দায়িত্ব পালনে কথা বলা শুরু করি। পূর্বনির্ধারিত টকিং পয়েন্ট অনুযায়ী পুলিশের বাড়াবাড়ি অথবা স্ব-উদ্যোগে উসকানিমূলক কিছু করলে ক্ষমাপ্রার্থনা ও বিভাগীয় তদন্তের কথা বলতে গিয়েছিলাম। তখনই বোতল নিক্ষেপ করেন একজন শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থী কেন এবং কার মদদে এ অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করলেন, তা আশা করি প্রশাসন দ্রুতই খতিয়ে দেখবে।

তথ্য উপদেষ্টা লেখেন, তারপর আমি হতাশা নিয়ে চলে যাচ্ছিলাম। তখন স্যারদের সঙ্গে আমার হতাশা ও ক্ষুব্ধতা ব্যক্ত করি। স্যাররাও এ অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে হতচকিত হয়ে গিয়েছিলেন। গত এক সপ্তাহব্যাপী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দলের নিয়মিত আক্রমণ ও হত্যার হুমকির কারণে ন্যায্যভাবেই অনুমান করেছিলাম– এটা হুমকিদাতা দলের কাজ হতে পারে। আমার হতাশা ও ক্ষুব্ধতা কাউকে আঘাত করলে আমি আন্তরিক দুঃখপ্রকাশ করছি।

নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করে উপদেষ্টা লেখেন, আমার বক্তব্য ছিল, এ আক্রমণের ফলে ন্যায্য দাবির আন্দোলন বিতর্কিত হলো। আমি চেয়েছিলাম, জবির আবাসন সমস্যা যেন দ্রুত সমাধান হয়। পরবর্তীতে ৫০ মিটার দূরত্বে আমি আরেকটা সাংবাদিক সম্মেলন করি। আমার অফিশিয়াল বক্তব্য, আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা, দাবিপূরণের রোডম্যাপ ও পুলিশি হামলার বিষয়ে বিভাগীয় তদন্তের আশ্বাস সেখানে আপনারা দেখতে পাবেন। জবির শিক্ষার্থীদের আবাসনের দাবি ন্যায্য। আশা করি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠান মিলে দ্রুতই একটি যৌক্তিক ও ফলপ্রসূ সমাধানে আসবেন।

তিনি আরও লেখেন, জবি থেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দুজন শিক্ষার্থী ভাই শহিদ হয়েছেন এবং অনেক ভাই-বোন আহত হয়েছেন। জবির ভাই-বোনদের বলব– আপনাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্যই আমি গিয়েছিলাম। জুলাই আমাদের মধ্যে ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের আত্মিক বন্ধন তৈরি করেছে। আশা করি, এ বন্ধন কোনো একক ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য ছিন্ন হবে না। আপনাদের যে কোনো প্রয়োজনে ঝুঁকিপূর্ণ হলেও আপনারা আমাকে সঙ্গে পাবেন।

পোস্টের শেষে মাহফুজ লেখেন, গতকাল রাতে এসেই আমি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে বলে দিয়েছিলাম, যাতে জোরপূর্বক জবি শিক্ষার্থীদের সরানো না হয়। তাদের ওপর যেন কোনো রকম আক্রমণ না চালানো হয়। সবার সুমতি হোক। ভুল হলে তা থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে আমরা এগোতে চাই।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে