ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে যেসব ভয়াবহ তথ্য পাওয়া গেছে

২০২৫ জানুয়ারি ৩১ ১১:২৩:২৭
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে যেসব ভয়াবহ তথ্য পাওয়া গেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) সম্প্রতি একটি ৫০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা জুলাই গণঅভ্যুত্থান এবং বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি। প্রতিবেদনটি বিশেষভাবে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং গত ১৫ বছর ধরে চলমান গুম-খুনের চিত্র তুলে ধরেছে, যা দেশের নাগরিকদের জন্য উদ্বেগজনক। এই প্রতিবেদনটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে কিছু চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো:

গণহত্যার সরাসরি নির্দেশ - প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জুলাই-আগস্ট মাসে গণঅভ্যুত্থান দমাতে সরাসরি গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

গুম-খুনের নির্দেশদাতা শেখ হাসিনা - প্রতিবেদনটি দাবি করেছে যে, গত ১৫ বছর ধরে বিভিন্ন সময় গুম এবং খুনের নির্দেশদাতা ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে বিরোধীদলীয় সদস্য, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী এবং সমালোচকদের লক্ষ্য করে এসব ঘটনা ঘটানো হয়।

নির্বিচারে গুলি চালানো - প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত আন্দোলন দমাতে নিরাপত্তা বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিল। পুলিশ সদস্যদের সাক্ষাৎকার থেকে উঠে এসেছে যে, শীর্ষ কর্মকর্তারা সিসিটিভি ভিডিও দেখে গুলি চালানোর নির্দেশ দিচ্ছিলেন, যেন তারা ভিডিও গেম খেলছেন। এর মধ্যে গুলি করা হয়েছিল আন্দোলনকারীদের বুকের ওপর, এবং সীসার বুলেট ব্যবহার করা হয়েছিল।

গণমাধ্যম ও জনগণের উপর হামলা - প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও নিশানা করা হয়েছিল। এমনকি গুলি আশপাশের বাড়িঘরের জানালা এবং গেটেও ছোড়া হয়েছিল, যাতে কেউ ঘটনার সাক্ষী হতে না পারে।

পুলিশের রাজনৈতিকীকরণ - প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, পুলিশের রাজনৈতিকীকরণ এবং জনগণের কাছে পুলিশের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য সরকার দায়ী।

এছাড়া, প্রতিবেদনটি ৫ আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ দাবি করেছে যে, পুলিশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী আইনবহির্ভূতভাবে গ্রেফতার এবং প্রতিশোধমূলক সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের উদাহরণ। সংস্থাটি র‍্যাব বিলুপ্তির সুপারিশও করেছে এবং এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

এই প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে একটি বড় ধরনের উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে এবং আন্তর্জাতিক মহলে এটি ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করবে।

কেএইচ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে