ঢাকা, শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান

২০২৫ জানুয়ারি ০৩ ১৮:৪৮:৪০
উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান

কক্সবাজারের মহেশখালীতে দেশের প্রথম সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) সিস্টেম পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্ষেত্রে জিটুজি-ভিত্তিক সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রতিযোগিতামূলক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে এ কাজের দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদনসহ ভোজ্যতেল, ডাল, সার ও জ্বালানি তেল কেনাসংক্রান্ত কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে অর্থনৈতিক বিষয় ও ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে কমিটি দুটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, আমদানি করা জ্বালানি তেল জাহাজ থেকে দ্রুত ও সাশ্রয়ীভাবে খালাস করার জন্য গভীর সমুদ্রে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপলাইন প্রকল্পটি ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে।

এসপিএমের কমার্শিয়াল অপারেশন দ্রুত শুরু করার জন্য এই প্রকল্পের ইপিসি ঠিকাদার চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিকে জিটুজি ভিত্তিতে পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে ২০২৪ সালের ২১ নভেম্বর অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভায় নীতিগত অনুমোদন হয়েছিল। তবে, বিশেষায়িত প্রকল্প হওয়ায় অধিকসংখ্যক দরদাতা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করলে কাজের মান উন্নত হবে এবং দামের মধ্যে সাশ্রয় আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে, প্রকল্পে ঠিকাদার নিয়োগে সরাসরি ক্রয়ের পরিবর্তে পিপিএ ও পিপিআরের আওতায় প্রতিযোগিতামূলক পদ্ধতিতে ক্রয় করার প্রস্তাব উপদেষ্টা কমিটিতে উপস্থাপন করা হলে সেটি অনুমোদিত হয়।

এর পাশাপাশি, ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে ইন্দোনেশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত, চীন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ওমানের আটটি প্রতিষ্ঠান থেকে ১৪ লাখ ২৫ হাজার টন জ্বালানি তেল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এর জন্য ব্যয় হবে ১১ হাজার ৪৭৯ কোটি ৪ লাখ টাকা।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে স্বল্পমূল্যে বিক্রির জন্য এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে সুপার অয়েল রিফাইনারি থেকে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনা হবে, যার ব্যয় হবে ১৮৯ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। একই পদ্ধতিতে শবনাম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়েছে, যার ব্যয় হবে ৯৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।

রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতার, সৌদি আরব ও মরক্কো থেকে এক লাখ টন সার আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪০ হাজার টন ডিএপি, ৩০ হাজার টন টিএসপি এবং ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার রয়েছে, যার জন্য মোট ব্যয় হবে ৫৮২ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

এছাড়া, বৈঠকে ই-জিপি সিস্টেমের উন্নয়ন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্পে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দোহাটেক নিউ মিডিয়া বাংলাদেশ এবং জিএসএস ইনফোটেক লিমিটেডের নিয়োগ অনুমোদন করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে