ঢাকা, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
Sharenews24

আগামী নির্বাচনে বিরোধী দল হবে কারা?

২০২৪ অক্টোবর ০৬ ০৬:৪১:১৪
আগামী নির্বাচনে বিরোধী দল হবে কারা?

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রায় সাড়ে ১৫ বছর দেশ শাসনের পর হঠাৎ আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। এরপর রাজনৈতিক লাইমলাইটে চলে এসেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে ক্ষমতায় যাওয়ার ব্যাপারে অনেকটাই নিশ্চিত বিএনপি। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যদি ক্ষমতাসীন দল হয়, তবে বিরোধী দল হবে কারা?

বিবিসি বাংলা এই প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধান করেছে। বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় অনুসন্ধানশেষে গণমাধ্যমটি এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশে এখন আওয়ামী লীগের অবস্থা বিপর্যস্ত। দলটির রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে কি-না সে আলোচনা চলছে রাজনৈতিক মহলে। মনে করা হচ্ছে, রাজনীতির মাঠে সহসাই শক্তভাবে ফিরে আসতে পারবে না আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চাপে থাকা দেশের বিভিন্ন ইসলামি দলগুলোকে নিয়ে জোট গড়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তবে কি ইসলামি দলগুলোই বিরোধী জোট হবে?

বিষয়টিতে জানতে চাইলে জামায়াতের মুখপাত্র মতিউর রহমান আকন্দ বলেছেন, আমরা কখনও বিরোধী দলে বসবো এই চিন্তা করি না বরং আমরা মনে করি, জনগণ আমাদেরকে ভোট দিয়ে পার্লামেন্টে এমন সংখ্যক আসন দেবেন, যে আসনের মাধ্যমে আমরা সরকার গঠনের পর্যায়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক বিষয়টিতে বলেন, চিন্তাগত বা মতাদর্শগত মতভিন্নতাগুলো আমরা এই মুহুর্তে রাজনীতির মঞ্চে উপস্থিত করতে চাচ্ছি না। রাজনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে সম্পূর্ণ একমত প্রকাশ করেন এই নেতা।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে সব সময় বিরোধ দেখা গেছে। তবে এখন দল দুটি কাছাকাছি আসার চেষ্টা করছে। দলটির সিনিয়র নায়েবে আমীর সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম এর আগে নানা সময়ে জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দলটির সঙ্গে ঐক্য গড়ায় দ্বিমত নেই বলে জানিয়েছেন । তিনি বলেন, ঐক্যের যে প্রক্রিয়া চলছে তাতে আমরা আগ্রহী। আমরাই আগে থেকেই এ ব্যাপারে বলে এসেছি।

তবে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন, ইসলামী দলগুলো জোট করে তেমন সফলতা পাবে না। কারণ দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এক ধরনের মনস্তাত্বিক বিরোধ এখনো বিদ্যমান।

এসব কারণে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিলে তারাই বিরোধী দল হয়ে ওঠে কি-না। এমন প্রশ্নও উঠে আসছে। যদিও দলটির ভবিষ্যত অবস্থা সম্পর্কে দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে এখন হতাশা বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আব্দুল লতিফ মাসুদ মনে করেন, বাংলাদেশের মানুষ ধার্মিক কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। ভোটের মাঠে জনগণ নৌকা অথবা ধানের শীষেই ভোট দেন।

রাজনৈতিক এ বিশ্লেষক বলেন, জামায়াতে ইসলামের ভোট হতে পারে সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ। কিন্তু বিএনপিকে চ্যালেঞ্জ করার মতো নয়। বাংলাদেশের মানুষ মোল্লাতন্ত্রেও বিশ্বাস করে না, নাস্তিকতন্ত্রেও বিশ্বাস করে না।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এর আগে বাংলাদেশে একবার মাত্র ইসলামি দলগুলোর বৃহৎ ঐক্যের নজির আছে। সেটাও প্রায় ৪৬ বছর আগে ১৯৭৮ সালে।

সেই সময় জামায়াতসহ চারটি ইসলামি দল মিলে ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ (আইডিএল) গঠন করেছিল। জোটটি সংসদ নির্বাচনে ২০টি আসন পেয়েছিল। পরে অবশ্য সেই ঐক্য আর থাকেনি।

মামুন/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে