ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জবি ছাত্রলীগের অর্ধশত নেতাকর্মীর পদত্যাগ

২০২৪ জুলাই ১৬ ১৫:১০:২৬
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জবি ছাত্রলীগের অর্ধশত নেতাকর্মীর পদত্যাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারি চাকুরীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের শতাধিক নেতাকর্মীর পদত্যাগের খবর পাওয়া গেছে।

রোববার (১৪ জুলাই) রাত থেকে এই পর্যন্ত ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের অনেকেই পদত্যাগ করছেন বলে জানা গেছে।

এই পর্যন্ত পদত্যাগকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- শেখ রাসেল হল শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ সামি (দপ্তর সম্পাদক শেখ রাসেল হল ), শাখা ছাত্র লীগের সদস্য ইমরান আহমেদ (বাংলা ৪৮), শাখা ছাত্র লীগের সহ-সম্পাদক আফরিন আলম রিমি, নিয়ামুল আরফে ( বিএমবি ৪৭), খাদিজা জুই ( গণিত ৪৯), সিদরাতুল মুনতাহা ( নবাব ফয়জুন্নেছা হল সেক্রেটারি ), রিপনুল ইসলাম রবিন। ছাত্রলীগের সদস্য ইমরান আহমেদ তার ফেসবুক পোস্টে বলেন , একটা আদর্শ বুকে নিয়ে কোন প্রকার স্বার্থের বাইরে ছাত্রলীগের রাজনীতি করতাম। কিন্তু রোববার রাতের ঘটনার পরেও যদি চুপ থাকি তাহলে নিজের বিবেক আর আদর্শের কাছে সারাজীবন অপরাধী হয়ে থেকে যাব। আমি ইমরান বশর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য।

আজকের পর থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সমস্ত রকম কর্মকান্ড থেকে নিজেকে অব্যাহতি দিলাম।

ছাত্রলীগের আরেক সদস্য আফরিন আলম রিমি ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে বলেন, বিবেকের কাছে পদ পদবি ;ক্ষমতার জন্য হেরে যেতে পারবো না। আমি আফরিন আলম রিমি,আজ থেকে সমস্ত ধরনের রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে নিজেকে নিষ্কৃতি দিলাম। শাখা ছাত্রলীগের উপ ধর্ম সম্পাদক নিয়ামুল আরফে তার পোস্টে বলেন, একটা আদর্শ বুকে নিয়ে কোন সার্থের বাইরে ছাত্রলীগের রাজনীতি করতাম। কিন্তু গতকাল রাতের ঘটনার পরেও যদি চুপ থাকি তাহলে নিজের বিবেক আর আদর্শের কাছে সারাজীবন অপরাধী হয়ে থেকে যাব। আমি শেখ মো: নাঈমুল আরাফী, উপ ধর্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। আজকের পর থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সমস্ত রকম কর্মকান্ড থেকে নিজেকে অব্যহতি দিলাম।

শেখ রাসেল হল শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ সামি তার পোস্টে বলেন, আমি মো: সামি, দপ্তর সম্পাদক শেখ রাসেল হল ছাত্রলীগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। এই মুহূর্ত থেকে সাংগঠনিক সকল দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নিলাম। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তৈরি হয়েছিলো কিছু লক্ষ্য উদ্দেশ্য সামনে রেখে। এক কথায় সংগঠনটি হবে শিক্ষার্থীদেরকে সাথে নিয়ে শিক্ষার্থীবান্ধব একটি ছাত্রসংগঠন। তারা দেশের যে কোন অন্যায়, অবিচার, বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলবে, অধিকার আদায়ে সচেষ্ট থাকবে, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিদাওয়া আদায়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ থেকে যোজন যোজন দূরে সরে গেছি! তাই এখন যা হচ্ছে আমার ক্যাম্পাসে সেইটা কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ মানতে পারে না। জীবনে কোনো দিন জুলুম করিনি, কারো সাথে অন্যায় করিনি।ইনশাআল্লাহ, বেঁচে থাকলে কখনো বিবেক বিসর্জন দিবো না। আমি সৃষ্টি তাই স্রষ্টায় বিশ্বাস করি এবং আমার বিশ্বাস প্রতিটি রাবার বুলেট, টিআর শেল ও অন্যায়ের হিসাব দিতে হবে।

উল্লেখ্য আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলার পর থেকে একের পর এক নেতাকর্মীদের পদত্যাগ করতে দেখা যাচ্ছে।

মিজান/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে