ঢাকা, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংবিধান পরিপন্থি : জিএম কাদের

২০২৪ জুলাই ০৭ ২২:০১:০৭
চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংবিধান পরিপন্থি : জিএম কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ‘চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি সংবিধান পরিপন্থি।’

আজ রোববার (০৭ জুন) গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন অত্যন্ত যৌক্তিক।

জিএম কাদের বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন অত্যন্ত যৌক্তিক আন্দোলন। সব সমাজের মানুষই বৈষম্য পছন্দ করে না। বৈষম্যময় সমাজকে সুষ্ঠু সমাজ বলা যায় না। বাঙালিরা বৃটিশ আমল থেকে বৈষম্যের শিকার হয়েছিল। বৈষম্য থেকে বাঁচতেই তারা পাকিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত হয়েছিল। পরবর্তীতে পাকিস্তানিরাও বাঙালিদের সঙ্গে বৈষ্যম্য সৃষ্টি করেছিল। তাই প্রথমে শুরু হলো স্বাধীকার আন্দোলন এবং পবরবর্তীতে স্বাধীনতা সংগ্রাম। তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র অর্জন করেছিলাম শুধু বৈষম্য থেকেই বাঁচতে। স্বপ্ন ছিল আমাদের একটি দেশ হবে, আমাদের দেশ হবে বৈষম্যহীন। যেখানে নির্যাতন- নিপিড়ন থাকবে না। সংবিধানে বৈষম্যের বিরুদ্ধে জোর দিয়ে বলা হয়েছে। চাকরিতে কোটা পদ্ধতি হচ্ছে সংবিধান পরিপন্থি।

সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, সংবিধানে সাম্যের কারণে কিছু মানুষকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সুযোগ দেওয়ার কথা আছে। যারা পিছিয়ে আছে, তারা যেন এগিয়ে যেতে পারে। পিছিয়ে পড়াদের কতটুকু সহায়তা দেওয়া হবে তাও সংবিধানে বলা আছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বা তাদের উত্তরাধিকারদের কোটা পদ্ধতিতে সুযোগ দেওয়া সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। প্রথমে মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করা হয়েছিল, এখন তা ৩ থেকে ৪ গুণ বেশি করা হয়েছে। এটা নিয়ে বহু কন্ট্রোভার্সি আছে।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে কত বয়স ছিল ২ থেকে ৩ বছর আবার কারো জন্মই হয়নি তারাও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে। অনেকের মুক্তিযুদ্ধের অবদান নিয়ে সন্দেহ আছে। আবার অনেকেই মুক্তিযুদ্ধ করেছেন কিন্তু তারা বিভিন্ন কারণে তালিকাভুক্ত হতে পারেননি। মুক্তিযুদ্ধে অনেকেই জীবন দিয়েছেন, তাদের সন্তানরাও জীবন দিয়েছেন কিন্তু শিক্ষা ও রাজনৈতিক সচেতনতার কারণে তারা তালিকাভুক্ত হতে পারেননি। জিএম কাদের বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের এককালীন সুবিধা দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু তা অন্য কাউকে বঞ্চিত করে বা বৈষম্যের শিকার করে নয়। যেখানে একজন চাকরি পাওয়ার জন্য উপযুক্ত তাকে বঞ্চিত করে অন্য কাউকে চাকরি দেওয়াটা স্বাধীনতাযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, বিচারাধীন বিষয়ে আমরা কথা বলতে চাই না। তবে ফিলোসফিটি আমি বলেছি। সাধারণ মানুষের ধারণা লাঠিয়াল বাহিনী সৃষ্টি করতেই অনুপযুক্ত লোকদের শক্তিশালী করে ব্রিটিশ ও পাকিস্তানিদের মতো অত্যাচার চালানোর অপচেষ্টা চলছে। ব্রিটিশ ও পাকিস্তানিদের মতোই বর্তমান সরকার ডিভাইড অ্যান্ড রুল চালু করেছে। কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে কারো অধিকার বঞ্চিত করা অন্যায়। যে পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে তাকে বঞ্চিত করার অধিকার কারো নেই। যে বঞ্চিত হবে তার মা-বাবাও বঞ্চিত হলো। তাদের উত্তরাধিকারও বঞ্চিত হবে এই পদ্ধতিতে।

মিজান/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে