ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

যে গ্রামে শুধু থাকেন মহিলারা

২০২৪ ফেব্রুয়ারি ২৪ ১৭:৩৯:৩৯
যে গ্রামে শুধু থাকেন মহিলারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বে এমনও গ্রাম আছে যেখানে পুরুষের ঢোকা সম্পূর্ণ নিষেধ। তবে নারীরা গর্ভবতী হোন এবং প্রতি বছরই কেউ না কেউ সন্তান জন্ম দেন। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্য। কেনিয়ার শ্যামবুরু এলাকার উমোজা এক আশ্চর্য গ্রাম। যে আশ্চর্য গ্রামে ৩০ বছর হয়ে গেল, শুধু থাকেন মহিলারাই।

এ গ্রামে কোনো পুরুষ প্রবেশ করতে পারেনা। কারণ নারীরাই নিজেরা ব্যবস্থা করে এই গ্রামে পুরুষ প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছেন। কিন্তু পুরুষ প্রবেশ না থাকা সত্ত্বেও নিজেদের মতন করে জীবনধারণ করছেন নারীরা।

তারা প্রতিবছর কেউ-না-কেউ সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন। ফলে বংশবৃদ্ধিও হচ্ছে সাধারণ নিয়মে। সমাজ পরিবর্তিত হচ্ছে। কিন্তু এই অদ্ভুত গ্রাম আজও কেনিয়ার বিস্ময়।

ঘটনাটি ১৯৯০ সালের। যখন ১৫ জন স্থানীয় আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ সেই নারীরা সমাজ বিচ্যুত হয়ে এই গ্রামে এসে বসতি গড়ে তোলেন। তারপর থেকে এখানে পুরুষদের হিংসার শিকার হওয়া বিভিন্ন নারীরা এসে একসঙ্গে বসবাস করতে শুরু করেন।

তাদের কেউ হয়তো ধর্ষণের শিকার কেউ বাল্যবিবাহের শিকার অথবা কেউ গার্হস্থ্য হিংসার শিকার। তারা সবাই হাতে হাত ধরে এক সমাজ গড়ে তুলেছেন। যে সমাজ শুধু নারীদের। যেখানে পুরুষদের কোনরকম প্রবেশাধিকার নেই। বর্তমান সময়ে এই গ্রামে প্রায় আড়াইশো নারী বসবাস করেন।

মনে প্রশ্ন জাগে এই গ্রামের নারীরা কীভাবে সন্তানের জন্ম দেন?‌ তার উত্তরেও আছে নারী স্বাধীনতার আসল প্রশ্নটি। নিজের সঙ্গীকে বেছে নেওয়ার প্রশ্ন। এই গ্রামের নারীরা গ্রাম থেকে বেরিয়ে নিজের পছন্দের পুরুষটিকে খুঁজে নেন এবং সেই পছন্দের পুরুষের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হন।

তারপর তারা গর্ভধারণ করেন এবং সন্তানের জন্ম দিয়ে থাকেন। এখানে কোনো সম্পর্ক, বিবাহ, সম্পর্কের আড়ষ্টতা নেই। কেবল সন্তান উৎপাদনের জন্য এবং যৌ. ন .সুখের জন্য এই গ্রামের নারীরা পুরুষ সঙ্গীকে বেছে নেন।

এই গ্রামে প্রাইমারি স্কুল রয়েছে। সাংস্কৃতিক কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া এই গ্রামে দর্শনীয় স্থান রয়েছে একাধিক। সেগুলো দেখতে আসেন পর্যটকেরা।

সেই পর্যটকদের খরচের ওপর নির্ভর করেই এই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষের জীবিকা নির্বাহ হয়। পর্যটকরা যে টিকিট কেটে এই গ্রামে ঢোকেন এবং গ্রামের বিভিন্ন অংশ পর্যবেক্ষণ করেন, দেখেন, ইতিহাস জানেন, সেই পর্যটকদের কাটা টিকিটের দাম থেকেই এই গ্রামের মানুষের হাতে অর্থ আসে।

কিন্তু এ যেন এক পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কাছে নারীবাদের আদর্শ উদাহরণ। পুরুষ রহিত এক সমাজ গড়ে তুলতে পেরেছেন নারীরা যেখানে কেবল আছেন নারী। তাদের কামনা বাসনা ইচ্ছা সেটি একমাত্র প্রাধান্যের বিষয়। সূত্র: টাইমস নাও, ডেইলি মেইল

শেয়ারনিউজ, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে