ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

টিকটক ভিডিও খুঁজে দিল ১৯ বছর আগে আলাদা হওয়া যমজ বোনকে

২০২৪ জানুয়ারি ২৬ ১৯:৩০:৩৬
টিকটক ভিডিও খুঁজে দিল ১৯ বছর আগে আলাদা হওয়া যমজ বোনকে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জর্জিয়ার একটি হাসপাতালে জমজ বোন হিসেবে জন্মেছিলেন অ্যামি এবং আনো। তাদের জন্মের পর জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে কোমায় চলে যান তাদের মা আজা শেনি। কিছু দিন চিকিৎসার পর যখন চিকিৎসকেরা তার পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার আশা ছেড়ে দেন, তখন ভীষণ বিপাকে পড়েন অ্যামি–আনোর বাবা। সদ্যজাত দুই শিশুকে কীভাবে বড় করবেন বুঝে উঠতে না পেরে অসহায় পিতা দুই কন্যাকে পৃথক দুটি পরিবারের কাছে বিক্রি করে দেন। সেই থেকে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে পরস্পর থেকে। খবর বিবিসির

অবিশ্বাস্য এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব এশিয়ার দেশ জর্জিয়ায়। বিবিসি বলছে, ২০০৫ সালে জন্ম নেওয়া এই দুই জমজ বোন দীর্ঘ ১৯ বছর বিচ্ছিন্ন থাকার পর একটি টিভি ট্যালেন্ট শো ও একটি টিকটক ভিডিওর মাধ্যমে পরস্পরকে খুঁজে পেয়েছেন।

অ্যামি জানান, ১২ বছর বয়সে প্রথম তিনি অ্যানোকে দেখেছিলেন একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে। ‘জর্জিয়াস গট ট্যালেন্ট’ নামের ওই অনুষ্ঠানে ঠিক তার মতো হুবহু দেখতে এক কিশোরী নাচছে। সে ছুটে গিয়ে তার মাকে বিষয়টি জানায়। কিন্তু তার মা বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলে সেই ঘটনা ওখানেই চাপা পড়ে যায়।

এই ঘটনার আরও সাত বছর পর আরেকটি অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটে। ২০২১ সালের নভেম্বরে অ্যামি দেখতে পান, ঠিক তার মতোই দেখতে নীল চুলের এক মেয়ে টিকটকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। এরপর অ্যামি কৌতুহলী হয়ে তার প্রোফাইলে গিয়ে জানতে পারেন, মেয়েটির নাম আনো সার্তানিয়া। তিনি থাকেন ৩২০ কিলোমিটার দূরের শহর তিবিলিসিতে।

কিন্তু কিছুতেই তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না অ্যামি। পরে একটি বিশ্বিবদ্যালয়ের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে তিনি ভিডিওটি পোস্ট করেন এবং জানতে চান, এই মেয়েটিকে কেউ চেনেন কি না। সেখানে একজন সাড়া দেন, যিনি ভিডিওর মেয়েটিকে চেনেন। পরে তাঁর মাধ্যমে যোগাযোগ হয় আনোর সঙ্গে। এভাবেই দুই জমজ বোন পরস্পরকে খুঁজে পান।

অ্যামি বলেন, ‘তিবিলিসির রুস্তাভেলি মেট্রো স্টেশনে আমাদের যখন দেখা হলো, তখন মনে হচ্ছিল আমি একটি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। যেন নিজেকেই দেখছি। একই মুখ, একই চোখ, একই নাক। এমনকি কণ্ঠস্বর পর্যন্ত এক। আমি জড়িয়ে ধরা পছন্দ করি না। কিন্তু সেই মুহূর্তে নিজেকে সামলাতে পারিনি। জড়িয়ে ধরি আনোকে।’

তারা দুজনে জানান, তারা পরবর্তীতে ডিএনও পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছেন, তারা সত্যিকার অর্থেই জমজ বোন। তারা তাদের বাবাকে আর খুঁজে বের করার চেষ্টা করেননি। তাঁদের ভাষ্য, যে বাবা তাদের বিক্রি করে দিতে পারেন সেই বাবার সঙ্গে তারা দেখা করতে চান না।

তবে তাঁরা তাঁদের জন্মদাত্রী মা আজার সঙ্গে লাইপজিগের একটি হোটেলে দেখা করেন। তখন আজা তাঁদের বলেন, অ্যামি–আনোর জন্মের পর তিনি কোমায় চলে গিয়েছিলেন। পরে সুস্থ হয়ে সন্তানদের খুঁজলে হাসপাতালের কর্মীরা বলেছিল, তারা জন্মের পরপরই মারা গেছে।

শেয়ারনিউজ, ২৬ জানুয়ারি ২০২৪

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে