ঢাকা, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

শ্রম আইনের ত্রুটি সংশোধনের সময় জানালেন আইনমন্ত্রী

২০২৩ ডিসেম্বর ০৬ ১৮:১১:২৮
শ্রম আইনের ত্রুটি সংশোধনের সময় জানালেন আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নতুন সংসদে শ্রম আইনের ত্রুটি সংশোধন করা হবে। বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

আনিসুল হক বলেন, শ্রম আইন সংশোধনী টাইপিংয়ে এমন ত্রুটি ছিল যে, এতে শ্রমিকদের অধিকার ক্ষুণ্ন হবে। তাই রাষ্ট্রপতি আইনটিতে সই না করে ফেরত পাঠিয়েছেন। শ্রমিকদের অধিকারের প্রতি সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন হিসেবেই এমনটি হয়েছে। ত্রুটিটা হচ্ছে, একজায়গায় শ্রমিকদের সঙ্গে যদি মালিকরা বেআইনি আচরণ করেন, তাহলে তাদের জন্য একটি সাজার কথা আইনের মধ্যে রয়েছে। সেটা একটু মিসপ্লেস হয়ে গিয়েছিল। যেটা ২৯৪-এর এক হওয়ার কথা ছিল, সেটা সেরকম না হয়ে অন্যরকম হয়েছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, অনেকগুলো বিল খুব তাড়াতাড়ি পাস হয়েছিল। সে কারণে এ ভুলটা পরে ধরা পড়েছে। রাষ্ট্রপতির কাছে যখন সইয়ের জন্য গেছে, তখন এটা পরিলক্ষিত হয়েছে যে, শ্রমিকদের অধিকার ক্ষুণ্ন হয়ে যেতে পারে, তাই রাষ্ট্রপতির কাছে ভুলের বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে। তখন আইন অনুসারে বিলটিতে সই না করে আবার জাতীয় সংসদে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

যেহেতু এটি সংসদে পাস হয়ে গেছে এবং এই জায়গাটুকু সংশোধন করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এই সংশোধনের জন্য আইনটি আবার সংসদে যেতে হবে। এর মানে হচ্ছে, যেহেতু এখন তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে এবং বর্তমান সংসদে আর অধিবেশন হবে না, সেহেতু নির্বাচনের পর যে নতুন সংসদ বসবে, সেখানে এটা উপস্থাপন করা হবে এবং ভুল সংশোধন করে শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, সরকার যখন দেখতে পেল যে, শ্রমিকদের যে অধিকার দেওয়া হয়েছিল, তাতে কিছু ত্রুটি হয়ে গেছে এবং সেটা শ্রমিকদের অধিকার খর্ব করবে, এ জন্য সরকার এটা রাষ্ট্রপতির কার্যালয়কে জানিয়েছে। রাষ্ট্রপতি তার আইনি বিচারে সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন এটা জাতীয় সংসদে পাঠানোর জন্য যেটা করা হবে, সেটা হচ্ছে আবার সংসদে উপস্থাপন করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনটি এখন সংসদে আছে। যে ত্রুটিটা হয়েছে, মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের সময় তা সঠিক ছিল, ভুলটা পরে হয়েছে। যে কারণে এটি মন্ত্রিসভায় যাওয়ার দরকার পড়বে না। আর তাই নতুন সংসদে সংশোধনী হিসেবে উপস্থাপন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আইনটিতে মালিকদের কিছু আচরণের ব্যাখ্যা করে দেওয়া আছে। বলা আছে, কোনো মালিক কোনো বেআইনি লকআউট শুরু করলে কিংবা চালিয়ে গেলে অথবা তা এগিয়ে নেওয়ার জন্য কোনো কাজ করলে তিনি ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এই সাজাটা ছিল পাঁচ হাজার টাকা, কিন্তু এটা ২০ হাজার টাকা করেছি। এখানেই ত্রুটিটা হয়ে গেছে। এই ত্রুটি যখন শ্রম মন্ত্রণালয় ধরতে পেরেছে, তখন এটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন রাষ্ট্রপতি এটিকে ফেরত দিয়েছেন।

শেয়ারনিউজ, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে