ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

পুঁঞ্জিভুত লোকসানে থেকেও খুলনা প্রিন্টিংয়ের অস্বাভাবিক দাপট!

২০২৩ নভেম্বর ০৭ ১৭:২১:৫৩
পুঁঞ্জিভুত লোকসানে থেকেও খুলনা প্রিন্টিংয়ের অস্বাভাবিক দাপট!

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভালো ডিভিডেন্ড দিয়েও অনেক কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে না। যে কারণে ভালো ডিভিডেন্ড দেয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। অথচ পুঁঞ্জিভূত লোকসানে থেকেও এবং ডিভিডেন্ড না দিয়েও বন্ধ থাকা কোম্পানি খুলনা প্রিন্টিংয়ের শেয়ার দরে ধারাবাহিক দাপট দেখা যাচ্ছে।

ডিএসই সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ অক্টোবর থেকেই কোম্পানিটির দর ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। গত ৮ কার্যদিবসের মধ্যে মাত্র একদিন এই কোম্পানির শেয়ারদর কমতে দেখা গেছে। গত ২৯ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৯ টাকা ৮০ পয়সা। যা আজ ০৭ নভেম্বর দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৪০ পয়সায়। যা গত ২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

গত ৮ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৫ টাকা ৬০ পযসা বা ৫৭.১৪ শতাংশ। গত এক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন দর ছিল ৯ টাকা ৩০ পয়সা।

গত এক মাসে খুলনা প্রিন্টিংয়ের শেয়ার দামের চিত্র:

অস্বাভাবিক হারে ধারাবাহিকভাবে এই কোম্পানিটির দর বেড়ে প্রায় প্রতিদিনই হল্টেড হতে দেখা যাচ্ছে। আজও কোম্পানিটির দর হল্টেড দেখা গেছে।

বর্তমানে কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কোম্পানিটির মালিকপক্ষ ঋণ খেলাপি হয়ে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। যে কারণে গত ২০২১ থেকে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো ডিভিডেন্ড দিচ্ছে না। উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রতিটি প্রান্তিকেই কোম্পানিটি ধারাবাহিকভাবে লোকসান দেখিয়ে আসছে।

এদিকে, মালিকপক্ষ দেশে না থাকায় কোম্পানিটি সমাপ্ত অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে আর্থিক প্রতিবেদনও প্রকাশ করেনি। যার ফলে অর্থবছর শেষ হলেও কোম্পানিটি ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এই রকম অচল অবস্থায় থাকা লোকসানী একটি কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি স্বাভাবিকভাবে দেখছে না বাজার সংশ্লিষ্টরা।

তাদের মতে, একটি দুষ্টু চক্র নিজেদের ফায়দা হাসিলের জন্য কারসাজির মাধ্যমে কোম্পানিটির শেয়ারদর বাড়াচ্ছে। নিয়ন্ত্রন সংস্থার উচিত কোম্পানিটির শেয়ার নিয়ে যারা কারসাজি করছে, তা চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া।

এদিকে, ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ২০১৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এর অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ১০০ কোটি ও ৭৩ কোটি টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির পুঁঞ্জিভূত লোকসানের পরিমাণ ৮৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ লোকসানের পরিমাণ পরিশোধিত মূলধনেরও বেশি।

সর্বশেষ প্রকাশিত কোম্পানিটির দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২২) পর্যন্ত অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী শেয়ারপ্রতি লোকসান ১১ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ২ টাকা ৯৯ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য হয়েছে নেগেটিভ ১ টাকা ৯৮ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল নেগেটিভ ১ টাকা ৮৬ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির কোনো সম্পদ মূল্য নেই। দায় রয়েছে ১ টাকা ৯৮ পয়সা।

কোম্পানিটির ৭ কোটি ৩০ লাখ ৪০ হাজার শেয়ারের মধ্যে ৩৯.৭৬ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ১.১১ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ৫৯.১৩ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।

শেয়ারনিউজ, ০৭ নভেম্বর ২০২৩

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে