গণমাধ্যমে মার্কিন ভিসা নীতি: ১৯০ বিশিষ্ট নাগরিকের নিন্দা
নিজস্ব প্রতিবেদক : গণমাধ্যমে ভিসা নীতি প্রয়োগের বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বক্তব্যে হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা জানিয়েছেন দেশের ১৯০ জন বিশিষ্ট নাগরিক। বিবৃতিতে পিটার হাসের বক্তৃতা সম্পাদকীয় বোর্ডের লেখা উদ্বেগের চিঠির উল্লেখ করেছে। গতকাল শনিবার (০১ অক্টোবর) চিঠিটি পাঠানো হয়েছে।
গণমাধ্যমের সাথে সংশ্লিষ্টরাও ভিসা নীতির আওতায় পড়তে পারেন, পিটার হাসের এমন বক্তব্যে হতাশা প্রকাশ করে দেওয়া এই বিবৃতিতে বলা হয়, গণমাধ্যমে ভিসা নীতি প্রয়োগের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নীতির পরিপন্থী। বাংলাদেশে সচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যম একটি বড় ভূমিকা রেখেছে। উগ্রবাদী শক্তি, জঙ্গি, জামায়াত ইসলামীর মতো যুদ্ধাপরাধীর দল, সন্ত্রাসী যা প্রগতিশীল ও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিগুলোকে নির্মূল করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে সোচ্চার ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশের গণমাধ্যম। এর ফলে বাংলাদেশ তালেবানের মতো একটি রাষ্ট্রে পরিণত হয়নি।
গণমাধ্যমের ওপর ভিসা নীতি নিয়ে হাসের বক্তব্যটি কট্টরপন্থী ও স্বাধীনতাবিরোধীরা স্বাগত জানিয়েছে এমনটি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, এই স্বাগত জানানো পক্ষটি অন্যান্য নীতিতে পশ্চিমাদের নিন্দা করে, মুক্তচিন্তকদের শত্রু মনে করে এবং ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধীদের দায়মুক্তির পক্ষে। হাসের বক্তব্যকে জামায়াতে ইসলামীর মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত ‘বাঁশের কেল্লা’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে স্বাগত জানিয়ে পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে হাসকে ‘একজন সত্যিকারের বন্ধু’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অতীতে এই পেজে ব্লগার ও মুক্তচিন্তকদের হত্যার পক্ষে নানা বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে। ফলে এই পেজে হাসের বিবৃতি নিয়ে উল্লাস আসলে ধর্মনিরপেক্ষ নাগরিকদের জন্য নিগূঢ় বার্তা দেয়।
আরও বলা হয়, ‘আমরা দেখেছি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ভিসা নীতিতে গণমাধ্যমের কথা উল্লেখ করা থেকে বিরত ছিলেন। কিন্তু হাস তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার না করায় ধারণা করা যায়, গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়তো চূড়ান্ত। এরই মধ্যে সম্পাদক ও সাংবাদিকেরা এটির নিন্দা করেছেন। হাসের এই বক্তব্যের কারণে সংবাদমাধ্যমগুলো সমালোচনামূলক প্রতিবেদন প্রকাশে বাধাপ্রাপ্ত হবে বলে মত দিয়েছেন অনেকেই। আমরা দেখেছি, জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধ, ধর্মনিরপেক্ষ নাগরিকদের কণ্ঠরোধ ও সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য নিয়ে “বাঁশের কেল্লা” পেজে আস্ফালন চলছে।’
বলা হয়, হাসের দ্বৈতনীতির বিষয়টি তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে। বাংলাদেশে আসার পর থেকে তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। কিন্তু তাঁর এখনকার অবস্থান গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মৌলিক অবস্থানকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা ছিল, গণমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে না দিলে তারাও ভিসা নীতির আওতায় আসবেন। কিন্তু হাসের বিবৃতিতে দেখা যায়, বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি, আর সেখানে গণমাধ্যমের ভূমিকার যে সুযোগ ছিল, সেটিকে মারাত্মক বাধাগ্রস্ত করবে।
আমরা যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক প্রচেষ্টা দেখেছি, যা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিপন্ন করার সম্ভাবনা রাখে জানিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘মার্কিন সরকার কর্তৃক র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার দাবি উত্থাপনে বড় ভূমিকা রেখেছেন দেশটির বিতর্কিত মার্কিন সিনেটর বব মেনেন্ডেজ। এ ছাড়া ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যানের স্বাক্ষরে একটি বিবৃতি প্রদান করা, যেখানে দাবি করা হয়েছে, বর্তমান সরকারের আমলে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা অর্ধেক হয়ে গেছে, যা একেবারে বাস্তবতা–বিবর্জিত এবং ন্যায়সংগত নয়। ফলে এই বিষয়গুলো আমাদের চিন্তা করতে বাধ্য করে যে এ ধরনের কার্যক্রমের পেছনে ভিন্ন কোনো ইচ্ছা রয়েছে কি না।’
আরও বলা হয়, ‘অতীতে ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালে জামায়াত এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা থেকে শুরু করে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের হামলা আমরা দেখেছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা ব্যতীত এসব সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা অসম্ভব। বিএনপি-জামায়াত সর্বশেষ যেই জোট সরকার গঠন করেছিল, সে সময়ও ২৮ হাজারের বেশি হামলা চালানো হয় সংখ্যালঘুদের ওপর, যেখানে তাদের সম্পত্তি, বাড়িঘর দখলসহ মন্দিরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়, জীবন্ত মানুষকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এ বিষয়ে তৎকালীন সরকারকে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। কিন্তু বর্তমান সরকার নির্বাচিত হয়ে আসার পর রাষ্ট্রের সহায়তায় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বন্ধ হয়েছে। আর সাম্প্রদায়িক এই সম্প্রতি বজায় রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
সর্বশেষ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা দেখতে পেলাম, ন্যায়বিচার সমুন্নত রাখার প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন ঘটেনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দণ্ডপ্রাপ্ত এবং আত্মস্বীকৃত খুনিদের ক্ষেত্রে, যাদের যুক্তরাষ্ট্র আশ্রয় প্রদান করছে। এটি বাংলাদেশের জন্য এমন এক জঘন্য হত্যাকাণ্ড, যা মৌলবাদী শক্তির উত্থান ঘটায়। সুতরাং আমরা মনে করি যে ভিসা নীতিটি কীভাবে প্রয়োগ করা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করা যৌক্তিক। কারা এর অনুমোদন দেবে এবং এই ধরনের পদক্ষেপের বৈধতা নিয়ে কারা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তা বোঝাটাও জরুরি। কারণ, আমরা রাষ্ট্রদূতের কার্যকলাপ দেখেছি এবং অন্যান্য কার্যাবলিও দেখেছি, যা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাওয়া মৌলবাদী শক্তিগুলোর জন্য বারুদ হিসেবে কাজে এসেছে।’
শেয়ারনিউজ, ০২ অক্টোবর ২০২৩
পাঠকের মতামত:
- মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
- সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন
- ডলারের হিসাবে ঘাটতি কমেছে সাড়ে ৩৮ কোটি টাকা
- এএমএস গ্লোবাল ফার্স্ট রেগুলার ইনকাম ফান্ডের ট্রাস্ট ডীড স্বাক্ষর
- ইসলামিক ফাইন্যান্সের নতুন এমডি নিয়োগ
- পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনায় নতুন নিয়ম জারি
- সাড়ে ৫ মাস পর ঘোষণাপত্রের প্রয়োজন কিনা, জানতে চেয়েছে বিএনপি
- সর্বদলীয় বৈঠকে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ উত্থাপন, যা আছে ঘোষণাপত্রে
- নতুন শৈত্যপ্রবাহ সম্পর্কে যা জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর
- যে জেলার সব উপজেলার ইউএনও নারী কর্মকর্তা
- এবার এস আলমের সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ
- ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারে বয়সসীমা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত
- ঘোষণাপত্র নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক শেষে যা বললেন সালাউদ্দিন আহমেদ
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা: ঢাকার কিছু সড়ক পরিহারের জন্য ডিএমপির গণবিজ্ঞপ্তি
- শেখ হাসিনার ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য
- মুগ্ধ হ ত্যা কাণ্ডে পুলিশের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে নতুন দাবি স্নিগ্ধের
- তীব্র সমালোচনার পর ভ্যাট হারের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করল সরকার
- নতুন আইন বাতিল, এনআইডি কার্যক্রম আবারও ইসির অধীনে
- নারী নিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তার অশ্লীল নৃত্য ভাইরাল
- অনিয়মের মধ্যেই ইসলামী ব্যাংকে নতুন অনিয়ম!
- বাজার ঘুরতে দিলো না চার কোম্পানির শেয়ার
- টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে ইলন মাস্কের নতুন মন্তব্য, রীতিমতো সাড়া ফেললো
- ‘নগদ’ এর কার্যক্রম নিয়ে হাইকোর্টের নতুন আদেশ
- টিউলিপ সিদ্দিকের পর এবার কপাল পুড়তে যাচ্ছে হাসিনা কন্যার
- হঠাৎ ঝড়ের কবলে ‘জেড’ গ্রুপের কতিপয় শেয়ার
- সংবিধান সংস্কারে বিএনপির ও কমিশনের দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য ও সাদৃশ্য
- ব্যাংক কর্মকর্তাদের পদোন্নতি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা
- শেখ পরিবারের নাম সরিয়ে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন নামকরণ
- সপ্তাহজুড়েই চাপের মুখে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা
- ডিভিডেন্ড পেলো বিনিয়োগকারীরা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে যে কোম্পানি
- এমবি ফার্মার বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- ১৬ জানুয়ারি ব্লকে পাঁচ কোম্পানির বড় লেনদেন
- ১৬ জানুয়ারি লেনদেনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ১৬ জানুয়ারি দর পতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ১৬ জানুয়ারি দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে বিএনপির নতুন পদক্ষেপ
- লুৎফুজ্জামান বাবরসহ মুক্তি পাচ্ছেন যে ৬ জন, তালিকা প্রকাশ
- দুই কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন
- হোটেল-রেস্তোরাঁ খাতে কর নিয়ে আসছে নতুন সিদ্ধান্ত
- নিউইয়র্কে অফিস খুলছে টেক্সটাইল খাতের এক কোম্পানি
- নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত সেই নারীর মৃত্যু, উদ্বেগ বেড়েছে
- প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে সিদ্ধান্ত জানালেন টুকু
- সারজিস আলমের সতর্কবার্তা
- ওবায়দুল কাদেরের পালিত পুত্র গ্রে ফতার
- কোন সঞ্চয়পত্রে কত বাড়ল মুনাফার হার
- আদালতে কষ্ট ও অভিমানের কথা বললেন মতিউর রহমান
- আরও এক কোম্পানির শেয়ার ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন
- সিভিও পেট্রোক্যামিকেলের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- বঙ্গবন্ধু সেতুর নামকরণ নিয়ে নাহিদ ইসলামের মন্তব্য , প্রকাশ্যে এলো আসল সত্য
- প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠাতে আরও সুবিধা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
- যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা চেয়েও পাননি মোদি
- ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৫ শেয়ারের বিনিয়োগকারীদের মাথায় হাত!
- শেয়ারবাজারের ৮ ব্যক্তি ও ১০ প্রতিষ্ঠানকে ৯১ কোটি টাকা জরিমানা
- আজ থেকে ৩ কোম্পানির শেয়ার ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন
- ফের জটিলতা, আটকে গেলো লেনদেন
- বিনিয়োগকারীদের বাজার বিমুখ হওয়ার ব্যাখ্যা দিল বিএসইসি
- ১ কোটি শেয়ার বিক্রির ঘোষণা
- বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে ভারতের আক্রমণ: বড় বিপদের শঙ্কা
- অব্যবহৃত ডাটা গ্রাহকদের জন্য বড় সুখবর
- ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বরখাস্ত হলেন ১০ ক্যাডার কর্মকর্তা
- ব্যাংক-শেয়ারবাজারের জন্য নতুন সুবিধা দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক
- ১৫ লাখ ১৫ হাজার শেয়ার কেনার ঘোষনা
- বিএসইসি চেয়ারম্যানের বিদেশ সফরের কারণ ও শেয়ারবাজার সংকট