ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

নতুন আইনের আওতায় আসছে সঞ্চয়পত্র

২০২৩ সেপ্টেম্বর ২৫ ১০:০৮:৫৭
নতুন আইনের আওতায় আসছে সঞ্চয়পত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘ ৪৭ বছর পর আইনের আওতায় আসছে সঞ্চয়পত্র খাত। নতুন আইনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সঞ্চয়পত্র আইন’। এর মাধ্যমে ১১টি স্কিম পরিচালনা করা হবে। নতুন আইনে গুরুত্ব পাচ্ছে পেনশনভোগী ও নারী ক্রেতারা। বর্তমান আইনের বিকল্প হিসাবে, সঞ্চয়পত্র ক্রয়-বিক্রয় এবং মুনাফা প্রদান সহ সকল প্রকার কার্যক্রম প্রবিধানের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। আইনের খসড়া তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বিবেচনার জন্য। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সঞ্চয়পত্র আইনের উদ্যোগে পথ বন্ধ হচ্ছে ‘সমন্বিত সঞ্চয়পত্র নীতিমালা’র। আইন প্রণয়নের আগে, প্রথম সিদ্ধান্ত ছিল সঞ্চয়পত্রের জন্য একটি ‘সমন্বিত নীতি’ প্রণয়ন করা। এর জন্য একটি খসড়া তৈরি করে চূড়ান্ত প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। আর তা চূড়ান্ত করতে অভ্যন্তরীণ সম্পদ অধিদপ্তর ও সঞ্চয় অধিদপ্তরের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে।

যার জন্য দীর্ঘ ৫টি বছর কেটে গেছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিভাগটি সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়ন থেকে সরে এসে এখন নতুন আইন প্রণয়নের দিকে এগোচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন তোলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের মুখ্য সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মনিম। সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে অনুষ্ঠিত এক সভায় জাতীয় সঞ্চয়পত্র পরিকল্পনার সমন্বিত নীতিমালার বিষয়টি উঠে আসে।

বৈঠকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, নীতিমালার পরিবর্তে নতুন করে সঞ্চয়পত্র আইন পাস করা হবে। কারণ সঞ্চয়পত্র নিয়ে কোনো আইন নেই। পরে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব বলেন, ‘সঞ্চয়পত্রের সমন্বিত নীতিমালা তৈরির সিদ্ধান্ত ছিল। এখন সমন্বিত নীতিমালা না করে কেন আইন প্রণয়নের কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।’ এ বিষয়ে পুনরায় যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী সভায় উপস্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।

জানা যায়, ২০১৯ সালে সঞ্চয়পত্রের জন্য একটি সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এটির উদ্দেশ্য ছিল এই নীতিমালার আওতায় পরিচালনা করা হবে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের স্কিম। এর খসড়া জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর থেকে অনুমোদনের জন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এই নীতির দ্রুত অনুমোদনের জন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের নগদ ও ঋণ ব্যবস্থাপনা কমিটির (সিডিএমসি) সভা আহ্বান করা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ নীতির প্রয়োগ হচ্ছে না। এখন নতুন আইন করা হবে।

পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত ৪৭ বছরেও এ খাতে কোনো আইন করা হয়নি। এই প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত সঞ্চয়পত্র বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ১৯৭৭ সালের নিয়ম আইনে পরিণত হচ্ছে। তবে নতুন সঞ্চয়পত্র আইনে আরও স্পষ্টীকরণ থাকবে।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, আজ নারীরা ক্ষমতায়ন এবং ক্রমবর্ধমান স্বাবলম্বী হচ্ছে। অনেক নারী আয়ের স্রোতে যুক্ত হচ্ছেন। নতুন আইনে এই নারীদের সঞ্চয়পত্রে আরও সম্পৃক্ত করতে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, খাঁটি সঞ্চয় শংসাপত্র কেনার সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে অবসরপ্রাপ্তদের জন্য। অন্যদিকে, আইনে এমন শর্ত রয়েছে যাতে ব্যবসায়িক গোষ্ঠী, বড় ব্যবসায়ী সংগঠন বা ধনী শ্রেণি এই খাতে অর্থ বিনিয়োগ করতে না পারে। উপরন্তু, অধিকাংশ সঞ্চয় বন্ড এখন বিক্রি হয় এবং মুনাফা অনলাইনে প্রদান করা হয়।

জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের হিসাবমতে আগামী জুন মাসে সব ধরনের ম্যানুয়ালি সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষ হবে। ফলে শতভাগ হচ্ছে অনলাইনভিত্তিক। ফলে সবকিছু অটোমেশন হয়ে গেলে নানা ধরনের বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পেতেই এ আইনটি বেশি প্রয়োজন হবে। নতুন আইনে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের গাইডলাইন থাকবে। ইচ্ছা করলে যে কেউ যে কোনো অঙ্কের সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবে না।

শেয়ারনিউজ, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে