নিজস্ব প্রতিবেদক : গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের ইতিবাচক লেনদেন বাজারে কিছুটা আশাবাদ ফিরিয়ে এনেছিল। সেই ধারাবাহিকতায় আজ ৩০ নভেম্বর লেনদেন শুরুর সময় সূচক ছিল স্থিতিশীল ও আশাব্যঞ্জক। তবে দুপুর গড়িয়ে সোয়া ১২টার দিকে পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে। সূচকের দিক পরিবর্তন হয়ে নিচের দিকে নামা শুরু করে এবং দিনশেষ পর্যন্ত তা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত দুই শেয়ারবাজারেই সূচকে বড় ধরনের পতন দেখা যায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স নেমে যায় ৫ হাজার পয়েন্টসীমার নিচে এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচকও ১৪ হাজারের ঘর ভেঙে পড়ে। এতে দিনের শুরুতে যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল তা শেষমেশ বিনিয়োগকারীদের হতাশায় পরিণত হয়।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ডিএসইএক্স সূচক ৪৯.৩৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৭৮.৭৬ পয়েন্টে। অন্যান্য সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক ১১.৫৩ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৪৫.২৯ পয়েন্টে নেমে আসে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ১৭.০৯ পয়েন্ট হারিয়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯১৭.০১ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে মোট ৩৯১টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে মাত্র ৫৭টির দর বেড়েছে, বিপরীতে ৩০৬টির দর কমেছে এবং ২৮টি কোম্পানির দর অপরিবর্তিত ছিল।

লেনদেনের দিক থেকে ডিএসইতে আজ মোট ৪৯২ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা আগের দিনের ৪৩৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকার তুলনায় ৫৩ কোটি ১০ লাখ টাকা বেশি।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। আগের দিনে সেখানে লেনদেন হয়েছিল ২৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকার, অর্থাৎ সিএসইতে লেনদেনে উল্লেখযোগ্যভাবে পতন হয়েছে।

সিএসইতে আজ লেনদেন হওয়া ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪২টির দর বেড়েছে, ১২৪টির কমেছে এবং ১৬টির দর ছিল অপরিবর্তিত।

দিন শেষে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৫.৮২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৯৭১.৪২ পয়েন্টে। আগের কর্মদিবসে এই সূচক ২৫.৭০ পয়েন্ট বেড়েছিল।