ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

পিনাকীকে খোঁচা দিয়ে ছাত্রদের বিপক্ষে যা বললেন জুলকারনাইন সায়ের

২০২৫ জুলাই ০৩ ১৫:২৪:২৫
পিনাকীকে খোঁচা দিয়ে ছাত্রদের বিপক্ষে যা বললেন জুলকারনাইন সায়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের পটিয়ায় ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ কর্মীদের ওপর পুলিশের হামলা নিয়ে যখন সারাদেশে চলছে উত্তাপ, তখন এই ঘটনা নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন আল-জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।

নিজের একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত মতামত জানান, যেখানে তিনি ঘটনার একটি ভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন এবং পুলিশের ভূমিকার পক্ষে অবস্থান নেন।

সায়ের লেখেন,"নিশ্চিতভাবেই একটি শালীন ও সভ্য সমাজে পটিয়া কোটিয়া থানায় যা ঘটেছে, তা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।"

তার মতে, ১ জুলাই চট্টগ্রামে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগ কর্মী দীপঙ্কর তালুকদারকে ধরে এনে মারধর করেন এবং পরে তাকে থানায় নিয়ে যান। তবে থানার অফিসার ইনচার্জ দীপঙ্করকে থানায় রাখতে অস্বীকৃতি জানান—কারণ তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না।

এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে থানায় ভাঙচুর চালায় এবং পুলিশের ওপর হামলা চালায়। সংঘর্ষে অন্তত ৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হন বলে দাবি করেন সায়ের।

তিনি জানান,"দাঙ্গাকারীরা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল ছুড়েছে। এমনকি তারা থানায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীকে পর্যন্ত ডাকা হয়।"

সায়ের আরও অভিযোগ করেন,"একজন প্যারিস-নিবাসী উগ্রপন্থী কর্মী এই নৈরাজ্যমূলক কর্মকাণ্ডে উস্কানি দিচ্ছে।"

তিনি বলেন,"সরকারকে অবশ্যই সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দোষীদের চিহ্নিত করতে হবে এবং প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনতে হবে।"

জুলকারনাইন সায়ের তার পোস্টে কড়া ভাষায় লেখেন,"যদি দেশে আবার আইনের শাসন ফিরিয়ে আনতে চাই, তাহলে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। দেশ কারও বাপের সম্পত্তি নয়। দীপঙ্করের অপরাধ প্রমাণিত না হলে, তার স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকার রয়েছে। যেমন অধিকার রয়েছে আন্দোলনকারীদেরও।"

তিনি আরও দাবি করেন,"গত এক দশক ধরে আমি এবং আরও অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই দেশটাকে ঠিক রাখার চেষ্টা করেছি। কেউ যেন দেশটাকে জাহান্নামে পরিণত না করতে পারে, সেই দায়িত্ববোধ থেকেই আমরা সহনশীলতা দেখাচ্ছি। কিন্তু যদি কেউ সীমা অতিক্রম করে, আমরা তখনও পিছপা হব না।"

জুলকারনাইনের এই বক্তব্যকে কেউ কেউ ‘একপাক্ষিক’ বললেও, তার অনুসারীরা বলছেন—এটি ‘সাহসী অবস্থান’। এ বক্তব্যের পেছনে রাজনৈতিক বার্তা রয়েছে বলেও মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

পটিয়া থানার ঘটনাটি নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে। সিসিটিভি ফুটেজ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দির ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে