ঢাকা, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
Sharenews24

যে কারণে শত্রুদেরও প্রশংসা পাচ্ছেন তারেক রহমান

২০২৫ জুন ২৮ ১৬:৩২:৫৪
যে কারণে শত্রুদেরও প্রশংসা পাচ্ছেন তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি লন্ডনের এক নিরিবিলি ফুটপাতঘেঁষা কফি শপে ধরা পড়েছে এমন এক মুহূর্ত, যা বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক ভিন্ন মাত্রার আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সেখানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেখা যায় খুলনা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিতের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে।

অনিন্দ ইসলাম অমিত হচ্ছেন বিএনপির সাবেক স্থায়ী কমিটির প্রয়াত নেতা তারিকুল ইসলামের পুত্র। রাজনীতির পরিচিতির বাইরে এই দৃশ্যটি মানবিক উষ্ণতায় পরিপূর্ণ—যেন বহুদিন পর এক আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করার মুহূর্ত।

ছবিতে দেখা যায়, কফির কাপ হাতে হালকা গল্পে মগ্ন দুজন। হাস্যোজ্জ্বল মুখ, স্বাভাবিক আচরণ—সব মিলিয়ে দৃশ্যটি কোনও আনুষ্ঠানিক বৈঠক নয়, বরং এক বন্ধুত্বপূর্ণ ও আন্তরিক সময়ের প্রতিচ্ছবি। তারেক রহমানকে দেখা যায় রাস্তার পাশের রেলিংয়ে হাত রেখে অনিন্দ ইসলামের সঙ্গে গল্পে মগ্ন থাকতে। এই ধরনের আচরণ একজন শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতার পক্ষে আজকের প্রেক্ষাপটে সত্যিই বিরল।

বিশেষ করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মধ্যম পর্যায়ের নেতাদের সাক্ষাৎ বা আলাপচারিতায় সাধারণত এক ধরনের প্রটোকল এবং দূরত্ব বজায় রাখা হয়। কিন্তু এই দৃশ্য যেন সে রীতিকে অতিক্রম করে নতুন এক বার্তা পৌঁছে দিল—রাজনীতি শুধু পদ-পদবীর খোলস নয়, বরং সহানুভূতি, আন্তরিকতা ও মানবিক বন্ধনের ক্ষেত্রও।

আরও আকর্ষণীয় বিষয় হলো, আড্ডার স্থানটি ছিল না কোনও বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ বা অভিজাত ক্লাব। এটি ছিল এক সাধারণ কফি শপ, যেখানে নেই নিরাপত্তার বাহুল্য, নেই মিডিয়ার ভিড়—আছে কেবল সরলতা আর আন্তরিক সম্পর্কের প্রতিফলন।

এই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরপরই নেটিজেনদের মাঝে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে মন্তব্য করেছেন, রাজনীতির এই মানবিক রূপ আজ প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে, আর সেই অভাব পূরণের এক ক্ষণিক চিত্র তুলে ধরলেন তারেক রহমান। কেউ বলছেন, এটাই রাজনীতির সেরা রূপ—মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়া। আবার কেউ মন্তব্য করেছেন, “নেতা হবেন এমনই—যিনি সাধারণ কফি শপেও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।”

তারেক রহমানের এই সাধারণ অথচ গভীর মানবিক আচরণ আজকের রাজনৈতিক বাস্তবতায় এক অনন্য উদাহরণ। যেখানে অনেক রাজনৈতিক নেতা নিজেকে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে রাখেন, সেখানে তিনি উল্টো পথে হেঁটে যেন বোঝালেন—রাজনীতি মানে হৃদয়ের সংযোগ, প্রোটোকলের আড়ালে থাকা নয়।

এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি কফি শপে দুই নেতার মিলনের ছবি নয়; এটি এক প্রতীক, এক মানবিক বার্তা। যেন বলা হচ্ছে—রাজনীতি আবার মানুষের মাঝে ফিরে আসতে চায়।

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে