ঢাকা, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
Sharenews24

ইউনূস-তারেক বৈঠক: ফারুকী-জ্যোতি-তুষারের অবাক করা মন্তব্য

২০২৫ জুন ১৩ ১৫:৫৯:৩২
ইউনূস-তারেক বৈঠক: ফারুকী-জ্যোতি-তুষারের অবাক করা মন্তব্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে আজ শুক্রবার লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে ঐতিহাসিক বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা) শুরু হওয়া এই বৈঠকটি দেশের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়েছে।

এই উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক নিয়ে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ও প্রখ্যাত নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বৈঠকের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেছেন, "সম্ভবত সর্বকালের সবচেয়ে প্রত্যাশিত সভাগুলির মধ্যে একটি! আশা করি এটি ঐক্যের পথ প্রশস্ত করবে - যা আমরা ২০২৪ সালের জুলাই মাসে দেখেছি!"

ফারুকীর এই মন্তব্য ইঙ্গিত দেয়, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি বৃহত্তর ঐক্যের প্রয়োজন রয়েছে এবং এই বৈঠক সেই দিকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হতে পারে।

তবে এই বৈঠক নিয়ে অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতির মন্তব্য অনেককেই অবাক করেছে। কারণ তাকে সাধারণত আওয়ামীপন্থী শিল্পী হিসেবেই জানেন সবাই। জ্যোতি তার ফেসবুক পোস্টে তারেক রহমানের রাজনৈতিক পরিপক্কতা নিয়ে প্রশংসা করেছেন। তিনি লিখেছেন, "গত ৮/১০ মাসে যে কয়েকজন রাজনৈতিক নেতৃত্বের দিকে দেশের মানুষ তাকিয়েছিল, আমার মতে তাদের মধ্যে সব থেকে পরিপক্ক এবং কল্যাণমূলক কথাবার্তা বলে আসছে তারেক জিয়া। আশা করি এ মুহূর্তেও সে একটি ঠিকঠাক সিদ্ধান্ত দেশকে উপহার দিবে।"

জ্যোতির এই অকপট মন্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং তারেক রহমানের প্রতি সাধারণ মানুষের একটি অংশের প্রত্যাশা তুলে ধরেছে।

এদিকে, জনপ্রিয় উপস্থাপক, চিকিৎসক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আব্দুন নূর তুষার জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ও ভোটারদের টাকা খাওয়া নিয়ে একটি ব্যঙ্গাত্মক স্ট্যাটাস দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। তুষার তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, "ভোট যারা দেয় তারা শুধু এপ্রিল মাসে টাকা নেয় না। তাই এপ্রিল মাসে পৃথিবীর সেরা নির্বাচন হবে।"

সাম্প্রতিক সময়ে লন্ডনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের বক্তব্যকে ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তুষারের এই স্ট্যাটাসটি তা নিয়েই ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই। বিশেষ করে নির্বাচনের স্বচ্ছতা এবং ভোটারদের অর্থের বিনিময়ে প্রভাবিত হওয়ার অভিযোগগুলো নিয়ে তার এই ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। এটি একদিকে যেমন নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতি সাধারণ মানুষের মধ্যে বিদ্যমান হতাশা ও সংশয়কে তুলে ধরে, তেমনি অন্যদিকে রাজনৈতিক আলোচনায় আরও গভীর বিতর্ক সৃষ্টির ইঙ্গিত দেয়।

সব মিলিয়ে লন্ডনের এই বৈঠক এবং এর পরবর্তী প্রতিক্রিয়াগুলো বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যা আগামী দিনের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মিরাজ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে