ঢাকা, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
Sharenews24

শেখ হাসিনাকে থামাতে রেহানার চোখের পানি!

২০২৫ মে ২৫ ১৬:৫৪:৩৬
শেখ হাসিনাকে থামাতে রেহানার চোখের পানি!

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পটভূমি নিয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে রাজি না হলে ছোট বোন শেখ রেহানা গণভবনে গিয়ে তাঁর পা ধরেন। পরিবারের সদস্যদের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগে সম্মত হন শেখ হাসিনা।

৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শেখ হাসিনা গণভবনে তিন বাহিনীর প্রধান ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) ডেকে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের কঠোর অবস্থান বজায় রাখতে বলেন। তবে আইজিপি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে এবং পুলিশের পক্ষে কঠোর অবস্থান ধরে রাখা সম্ভব নয়। এরপর শীর্ষ কর্মকর্তারা শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে শেখ হাসিনাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। পরিবারের সদস্যদের অনুরোধে তিনি পদত্যাগে রাজি হন।

ওই সময়ে শীর্ষ কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়, বলপ্রয়োগ করে এই পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে না। কিন্তু শেখ হাসিনা সেটা মানতে চাচ্ছিলেন না। তখন কর্মকর্তারা শেখ রেহানার সঙ্গে আরেক কক্ষে আলোচনা করেন। তাকে পরিস্থিতি জানিয়ে শেখ হাসিনাকে বোঝাতে অনুরোধ করেন। শেখ রেহানা এরপর বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেন। কিন্তু তিনি ক্ষমতা ধরে রাখতে অনড় থাকেন। একপর্যায়ে বিদেশে থাকা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন একজন শীর্ষ কর্মকর্তা। এরপর জয় তার মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর শেখ হাসিনা পদত্যাগে রাজি হন। তিনি তখন একটা ভাষণ রেকর্ড করতে চেয়েছিলেন জাতির উদ্দেশে প্রচারের জন্য। ততক্ষণে গোয়েন্দা তথ্য আসে যে বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতা শাহবাগ ও উত্তরা থেকে গণভবন অভিমুখে রওনা হয়েছে। দূরত্ব বিবেচনায় ৪৫ মিনিটের মধ্যে শাহবাগ থেকে গণভবনে আন্দোলনকারীরা চলে আসতে পারে বলে অনুমান করা হয়। ভাষণ রেকর্ড করতে দিলে গণভবন থেকে বের হওয়ার সময় না-ও পাওয়া যেতে পারে। এই বিবেচনায় শেখ হাসিনাকে ভাষণ রেকর্ডের সময় না দিয়ে ৪৫ মিনিট সময় বেঁধে দেয়া হয়।

এরপর ছোট বোন রেহানাকে নিয়ে তেজগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দরে হেলিপ্যাডে আসেন শেখ হাসিনা। সেখানে তাদের কয়েকটি লাগেজ ওঠানো হয়। তারপর তারা বঙ্গভবনে যান। সেখানে পদত্যাগের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বেলা আড়াইটার দিকে সামরিক হেলিকপ্টারে করে ছোট বোনসহ ভারতের উদ্দেশে উড্ডয়ন করেন শেখ হাসিনা।

জানা গেছে, হেলিকপ্টারটি ভারতের আকাশে প্রবেশের পর কিছুক্ষণ উড্ডয়ন করে। পরে আগরতলায় বিএসএফের একটা হেলিপ্যাডে অবতরণ করে। তারপর সেখান থেকে দিল্লি যান বলে ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে।

ইন্ডিয়া টুডের এক খবরে বলা হয়, শেখ হাসিনা নয়াদিল্লির কাছের গাজিয়াবাদে (উত্তর প্রদেশ) ভারতীয় সেনাবাহিনীর হিন্দন বিমানঘাঁটিতে দেশটির স্থানীয় সময় ৫টা ৩৬ মিনিটে অবতরণ করেন। ভারতের সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা তাঁকে স্বাগত জানান।

মুয়াজ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে