ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

দেশে সর্বজনীন ন্যূনতম আয় চালু হলে ৬ শতাংশ দারিদ্র্য কমবে

২০২৪ নভেম্বর ২৫ ১৩:৩৬:০৭
দেশে সর্বজনীন ন্যূনতম আয় চালু হলে ৬ শতাংশ দারিদ্র্য কমবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) বলেছে, দেশে সর্বজনীন ন্যূনতম আয়ের প্রক্রিয়া বা ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম (ইউবিআই) পদ্ধতি চালু করা হলে ৬ শতাংশ পর্যন্ত দারিদ্র্য কমে আসবে।

রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে সিপিডি আয়োজিত 'অ্যাসেসিং দ্য ভিয়াবিলিটি অফ ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম (ইউবিআই) ইন বাংলাদেশ' — শীর্ষক অনুষ্ঠানে গবেষণা সংস্থাটির পক্ষ থেকে একটি স্টাডির রেফারেন্স দিয়ে এ কথা বলা হয়েছে।

সংস্থাটি বলেছে, দেশের দারিদ্র্যপীড়িত ৩৬ জেলায় এই পদ্ধতি চালু করা গেলে দারিদ্র্য কমবে ৩.৭ শতাংশ। বৈরী আবহাওয়াপূর্ণ ৩৪ জেলায় বাস্তবায়ন করা গেলে ৩ শতাংশ দারিদ্য কমবে। আর অতিদারিদ্র্যপীড়িত ১১ জেলায় এই পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা গেলে দারিদ্র ১.৫ শতাংশ কমে আসবে। তবে এই পদ্ধতি চালু করার জন্য সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি পর্যালোচনার মাধ্যমে সিপিডি নতুন এই পদ্ধতির প্রস্তাব করেছে। এই গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। যিনি আজকের সংলাপ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

এ সময় দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, "বাংলাদেশের জনগণকে নাগরিক হিসেবে ন্যূনতম আয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। দেশ গণতন্ত্রে উন্নয়নের সন্ধিক্ষণে রয়েছে। এরকম সময়ই আকাঙ্খা তুলে ধরার সময়। উন্নয়ন ও বিকাশের নিশ্চয়তা পাবে মানুষ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ধারণা আছে। সেগুলো পর্যালোচনা করে এই প্রস্তাব করা হলো।

তিনি বলেন, "এখন বাংলাদেশের কোনো সামাজিক নিরাপত্তায় নিজে তালিকাভুক্ত হওয়ার সুযোগ নেই। এই সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সবার সামনে তালিকা চলে আসলে সেখানে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে, কারণ কমিউনিটি তখন কে যোগ্য, কে যোগ্য না— তা বের করতে পারবে।"

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, "সর্বজনীন ন্যূনতম আয়ের ছয়টি বিশেষ দিক রয়েছে। এতে বৈষম্যহীনতা সৃষ্টি হয়, অর্থনীতি বেগবান করে, সার্বিক সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যারা বাদ পড়েন, তারা সুবিধা পান, শর্তছাড়া সকলের জন্য সমান ও নগদে সহায়তা দেওয়া হয় এবং ব্যক্তি পার্যায়ে সুবিধা পায়।"

তৌফিকুল ইসলাম খান আরও বলেন, "কোনো পরিবার যদি বাল্যবিবাহ দেয়, তারা এই সুবিধা পাবে না। একটি সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধা পেলে অন্য সুবিধা পাবে না।"

জানুয়ারি থেকে জুন মাসে সিলেকশন পদ্ধতি করার সুপারিশ করে, অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন তিনি। ২০২৫-২৬ সালের বাজেটে এই ধারণা অন্তর্ভূক্ত করার সুযোগ আছে বলে উল্লেখ করেন তৌফিকুল ইসলাম।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র সোশ্যাল প্রটেকশন স্পেশালিস্ট আনিকা রহমান বলেন, "ইউবিআই চালুর সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ দুটোই আছে। এটা ভিন্ন মডেল। ফলে প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ বেশি থাকবে। এখানে ক্যাশ ট্রান্সফারের ইস্যু রয়েছে। ফলে স্বচ্ছতা, সুবিধাভোগী নির্বাচন করার পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, শিশুদেরকে কীভাবে সম্পৃক্ত হবে সেটিও গুরুত্বপূর্ণ।"

এস/

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে