নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাধীনতা লাভের পর গত সপ্তাহে প্রথম কোনো পাকিস্তানি পণ্যবাহী জাহাজ সরাসরি বাংলাদেশে নোঙর করেছে। পাকিস্তানের করাচি থেকে জাহাজটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে এসে নোঙর করে।

ভারতের সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া এমনটিই জানিয়েছে, এভাবে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে জাহাজ আসার ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে ভারত।

আজ শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলেছে, পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সরাসরি সামুদ্রিক সংযোগ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে (সেভেন সিস্টার্স) সম্ভাব্য অস্থিরতা তৈরির কাজে ব্যবহার করা হতে পারে। কারণ, বাংলাদেশ সীমান্তের খুব কাছে এই রাজ্যগুলো অবস্থিত।

তবে ভারত উদ্বিগ্ন হলেও পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে জাহাজ আসার বিষয়টিকে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। কারণ এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক উষ্ণ হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, শেখ হাসিনার পতনের পর ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য কার্যক্রম বাড়াতে আগ্রহী। সরাসরি সামুদ্রিক পথের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়বে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ৮০০ মিলিয়ন ডলারেরও কম ছিল।

টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া বলেছে, বাংলাদেশের প্রধান দুই বন্দর চট্টগ্রাম ও মংলায় গত পাঁচ দশকে পাকিস্তান জায়গা পায়নি। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য হতো সিঙ্গাপুর ও কলম্বোর মাধ্যমে। কিন্তু এখন পাকিস্তানি জাহাজ সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে।

ভারতের একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, গত বছর মংলা বন্দর টার্মিনাল দখল করে ভারত চীনের বিরুদ্ধে কৌশলগত বিজয় অর্জন করেছিল।

কিন্তু এখন চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশাধিকার পেয়েছে পাকিস্তান। এই অঞ্চলের ভূ-রাজনীতিতে অবশ্যই এর প্রভাব পড়বে। কারণ মিয়ানমারও চট্টগ্রামের খুব কাছে।

আরিফ/