ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

ভোট কারচুপির তদন্ত হচ্ছে, ঘুম হারাম সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের

২০২৪ নভেম্বর ১৪ ২০:৫৫:২৭
ভোট কারচুপির তদন্ত হচ্ছে, ঘুম হারাম সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের

নিজস্বপ্রতিবেদক: শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ভোট কারচুপির তদন্ত করবে সরকার। রাতের ভোট ও ডামি নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা মাঠ প্রশাসনের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) ভূমিকা তদন্ত করা হবে।

একইভাবে পুলিশের মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সুপার, থানার ওসিদের দায়িত্ব পালন এবং তাঁদের ভূমিকারও চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হবে।

এছাড়া, সরকারি কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাতের ভোট ও ভোট কারচুপির সংশ্লিষ্টতা মিললে বাধ্যতামূলক অবসরসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

ভোট কারচুপির বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে অবস্থান নিচ্ছেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা। ফলে বিগত সরকারের আমলে নির্বাচনী মাঠে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের রাতের ঘুম যেন হারাম হয়ে গেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা মনে করেন, বিগত সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত তিন জাতীয় নির্বাচনে ভোটের আগের রাত, ব্যাপক জালিয়াতি ও ডামি নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তারা পুরোপুরি সহায়তা করেছিলেন। তাদের সহায়তায় হাসিনা সরকার নির্বাচনে জয়লাভ করে তার ফ্যাসিবাদী চরিত্র অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের আহ্বায়ক এ বি এম আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘বিগত সরকারের ভোট ডাকাতির নির্বাচনে যাঁরা জড়িত ছিলেন, তাঁরা শুধু গণতন্ত্রকেই হত্যা করেননি, বরং রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, দু-একজন ছাড়া কারো বিরুদ্ধে সরকার উল্লেখ করার মতো তেমন কোনো ব্যবস্থা এখনো নেয়নি। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ছিল গণতন্ত্র হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে। আমরা আবারও দাবি করছি, তাঁরা যেখানেই থাকুন, তাঁদের চাকরিচ্যুত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে আইনের আওতায় আনা হোক। সরকারের কাছে তাঁদের তালিকা দেওয়া হয়েছে।’ সূত্র জানায়, বিগত সরকারের তিনটি নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত ডিসি, বিভাগীয় কমিশনারদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে সাবেক সমাজকল্যাণসচিব মো. ইসমাইল হোসেন এবং নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাংগীর আলমকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়া পুলিশ বিভাগের বেশ কয়েকজন পদস্থ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। অনেককে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে রাখা হয়েছে। তাঁদের অনেকে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলেও জানা গেছে। কেউ কেউ চিকিৎসা কিংবা বিদেশপড়ুয়া ছেলেমেয়েকে দেখার নামে বিদেশে যাচ্ছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসি জানান, বিষয়টি তাঁরা আগেই শুনেছেন। কিন্তু তাঁদের কিছুই করার ছিল না। কারণ চাকরি করতে হলে সরকারের শীর্ষ মহলের কথা শুনতে হবে। তারা যা করেছেন, চাকুরির ভয়ে করেছেন।

মামুন/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে